খুঁজুন
রবিবার, ৪ মে, ২০২৫, ২১ বৈশাখ, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...
সাম্প্রতিক:
খবর লোড হচ্ছে...

সুনামগঞ্জের বেতগঞ্জ-জালালপুর রাস্তাউন্নয়ণের কাজ সম্পন্ন, এলাকায় স্বস্থি

উস্তার আলী, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৪১ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জের বেতগঞ্জ-জালালপুর রাস্তাউন্নয়ণের কাজ সম্পন্ন, এলাকায় স্বস্থি

বহুদিন পরে হলেও সুনামগঞ্জসদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বেগগঞ্জ-জালালপুর রাস্তা উনন্নয়ণ প্রকল্প (জিওবিএস) এরপাকা কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এলাকাবাসীর মনে স্বস্থি ফিরে এসেছে। ৬২৫মিটার দুরত্বের এবং ১০ ফুট প্রস্থের এ পাকা রাস্তাটি অত্যন্ত মজবুত এবং টেকসই ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় গ্রাম এলাকার মানুষ জন সন্তেুাষ প্রকাশ করেছেন। দেয়া হয়েছেগার্ড ওয়াল। মেসার্স প্রদীপ এন্টারপ্রাইজ মল্লিকপুর সদর সুনামগঞ্জ এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করেছে। ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীনএ রাস্তার কাজ সুনামগঞ্জ সদর এলজিইডি’র ব্যবস্থাপনায় বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকার আরবআলী, তৈয়বমিয়া, রজবআলী, এমরান হোসেন বলেছেন এই রাস্তার উন্নয়ন হওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আমাদের ছেলে মেয়েরা, বউ বাচ্চার পায়ে হেটে বাগাড়ি চড়ে নির্বিগ্নে স্কুলকলেজে ও বাজারে যেতে পারবে। মেসার্স প্রদীপ এন্টার প্রাইজের সত্ত¡াধিকারী অরেশ চন্দ্র দেব বলেন ,সরকারি এ রাস্তার কাজের মান টেকসই করতে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টাকরেছি। ওর্য়াক অর্ডার অনুযায়ী কাজ করেছি। কোন প্রকার অনিয়ম করিণি। সফলতা যেটুকু অর্জন হয়েছে সেটা এলজিইডি সদরের এবং এলাকাবাসীর আর ব্যর্থতা আমার। সদর এলজিইডির নির্দেশনায় আমিরাস্তার কাজের মানবৃদ্ধিতে কাজ করেছি।সুনামগঞ্জ সদর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনবলেন, আমাদের ওর্য়াক অর্ডার অনুযায়ী কাজ করেছে মের্সাস প্রদীপ এন্টার প্রাইজ । রাস্তার কাজে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি। মডেল কাজ হয়েছে বলে আমিমনেকরি। মোল্লাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.নুরুলহক বলেন, আমাদের এই রাস্তা উন্নয়নের কাজ খুব ভাল হয়েছে। কোথাও কোন গার্ফিলতি বাত্রæটিবিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়নি। এই কাজে আমি ও গ্রাম এলাকাবাসীর সাথে সন্তেুাষ প্রকাশ করছি। বর্তমানে গ্রাম এলাকার লোকজন নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারছেন। যান বাহন চলাচল শুরু হয়েছে। গ্রামীন এ রাস্তাটির উন্নয়নে আমি এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বগুড়া শেরপুরে বর্মণ হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

নাজমুল হাসান নাজির, বগুড়া প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ১০:২১ অপরাহ্ণ
বগুড়া শেরপুরে বর্মণ হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে ভুল চিকিৎসায় রত্না বেগম (৪১) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে পৌরশহরের বর্মণ হেলথ কেয়ারে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মারা যাওয়া রোগীর স্বজনদের অভিযোগ চিকিৎসার জন্য নেয়ার পর ভূল চিকিৎসায় কারনে তার মৃত্যু হয়। নিহত রত্না বেগম উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া কলোনী গ্রামের শাহাবুল ইসলামের স্ত্রী ও ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, গত বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে পেটে ব্যাথার কারনে রত্না বেগমকে পৌর শহরের বর্মণ হেলথ কেয়ারে আনা হয়। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দিয়ে পরের দিন আসতে বলেন। এরপর গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় আবার চিকিৎসার জন্য একই ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার তন্ময় বর্মণ নামে একজন চিকিৎসক আগের দিনের ওষুধের সাথে আরো কিছু ওষুধ যোগ করেন এবং রোগীর পরিবার কে নিয়ে আসতে বলেন। এ সময় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হয়। রোগীর ছেলে বাহির থেকে ওষুধ ও ইনজেকশন নিয়ে আসার পর রোগীকে ইনজেকশন দেয়ার সাথে সাথে মুখ দিয়ে লালা বের হয় ও খিচুনি দিয়ে নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে স্বাভাবিক করার চেষ্টার এক পর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে নিজেরা এম্বুলেন্স ডেকে রোগীকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এ সময় রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
রোগীর স্বামী শাহাবুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রীকে তারা মেরে ফেলেছে। আমি ওদের বিচার চাই। ঘটনার তদন্ত করে এর সুষ্ট বিচারের দাবী জানান।
নিহতের ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমারে মাকে বর্মন হেলথ কেয়ারে নিয়ে গেলে সেখানে আমাকে কিছু ইনজেকশন ও ওষুধ আনতে বলেন, পরে তারা ইনজেকশন দেয়ার ১ মিনিটের মধ্যে খিচুনি ও মুখ দিয়ে লালা পরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। তাদের ভূল চিকিৎসার জন্য আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
শেরপুর থানার অভিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। তবে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঝটিকা সফরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি

মোঃ সুমন খান,বান্দরবান প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ৮:০২ অপরাহ্ণ
ঝটিকা সফরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি

বান্দরবানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি সার্কিট হাউসে পৌঁছলে গার্ড ও অনার প্রদান করা হয়।

আজ ৩ রা মে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বান্দরবান পার্বত্য জেলা সফর করেন।

সিনিয়র সচিব মহোদয়ের বান্দরবান সফর উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, বান্দরবান পার্বত‍্য জেলার আয়োজনে “জেলা পর্যায়ের সকল দপ্তর প্রধান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভূমিকা পালন শীর্ষক আলোচনা সভা” জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন মিজ শামীম আরা রিনি, জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম‍্যাজিস্ট্রেট, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, পৃথিবীতে যত রাষ্ট্র আছে সেখানে পুলিশ আছে। পুলিশ সমাজেরই অংশ। আমাদের দেশে পুলিশের জনপ্রিয়তায় যে ভাটা পড়েছে তা উদারচিত্তে আলোচনা হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, পুলিশের সাথে জনগণের দূরত্বের গোড়ায় যেতে হবে। জনগনের বিপক্ষে পুলিশকে দাঁড় করানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে- অস্ত্র নয়, জনগণের আস্থা অর্জনই পুলিশের প্রকৃত শক্তি। পুলিশ যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের পাশে থাকে, তবে তারা “ভয়ের প্রতীক” নয়, বরং হয়ে ওঠে “ভরসার আশ্রয়”।

নাসিমুল গণি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর সিনিয়র সচিব বান্দরবান জেলায় আগমন উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম (বার)।

মতবিনিময় সভায় জেলা পর্যায়ের সকল দপ্তর প্রধান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা শিক্ষক, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ,খেলোয়াড়, অর্থনীতিবিদ, শ্রমিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকগণ, উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়ায় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
বগুড়ায় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি

বগুড়ায় সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়ার ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতনে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের কর্মসূচিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন বক্তারা।
গতকাল শনিবার দুপুরে বগুড়ার প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় আয়োজিত মানববন্ধনে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিবেদক মহসিন আলী রাজু বলেন, সাংবাদিক নজরুলের ওপর হামলার তিনদিনেও জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গণমাধ্যম দিবসে একজন প্রতিবাদী সাহসী সাংবাদিক হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। তার পুরো শরীরে আঘাতের ক্ষত।
গত বুধবার রাতে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের ফিলিং স্টেশন এলাকায় মব সৃষ্টি করে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে পিটিয়েছে একদল দূর্বৃত্তরা। বর্তমানে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। হামলার শিকার নজরুল ইসলাম দয়া দৈনিক ভোরের ডাকে কর্মরত, নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব এবং জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিক নজরুল সাহসের সঙ্গে সোজাসাপটা সংবাদ প্রকাশ করে। কখনোই অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেনি। ইতিপূর্বে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ একাধিক মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছে। একাধিকবার এলাকাছাড়া হয়েছিল এবং থানার মধ্যেও তার ওপর হামলা করেছিল। একযুগ নির্যাতনের শিকার সাংবাদিককের ওপর কেন বর্বরোচিত হামলা। জড়িতদের শনাক্ত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
মানববন্ধনে বগুড়া জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মাকছুদ আলম হাওলাদারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক এসএম দৌলত, আব্দুল মতিন, নব কুমার সূর্য্য, এমদাদুল হক, রহিদুর রহমান মিলন, রাসেল মাহমুদ, রবিউল ইসলাম রবি, শিপলু রহমান, তানসেন আলী মন্টু, ববিন রহমান, শাহিন আলম, সাদিকুর রহমান, আরিফ চৌধুরী, মোরশেদুল ইসলাম, শাহজাহান আলী, আনোয়ার হোসেন, সাজু মিয়া, শেখর চন্দ্র টুটুল, মিজানুর রহমান, বাকী বিল্লাহ, উৎপল কুমার মোহন্ত, রুহুল আমিন, সোহাগ আলী, হেদায়েতুল ইসলাম লিটন, আবু হাসান হাবীব, হাফসা পারভিনসহ বগুড়ার কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।