তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

আধুনিক বিল্ডিং কোড অনুসরণে না করায় দেশে বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন

আলম শাওন,বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ
আধুনিক বিল্ডিং কোড অনুসরণে না করায় দেশে বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন

আধুনিক বিল্ডিং কোড অনুসরণ না করায দেশে বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। দেশে পুরোনো বিল্ডিং কোড অনুসরণ করেই নির্মাণশিল্প চলছে। ফলে নির্মিত ভবনগুলো নিরাপত্তা ঝুঁঁকি পাশাপাশি নির্মাণ ব্যয়ও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো নিয়মিত বিল্ডিং কোড সংশোধন করে আধুনিক, সাশ্রয়ী নির্মাণপ্রযুক্তি ও সামগ্রী ব্যবহার করলেও বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) পরিবর্তনের দীর্ঘসূত্রতা পিছিয়ে রাখছে এ শিল্পকে। ফলে দেশে নির্মাণ ব্যয় বাড়ছে ৩০ শতাংশ। নির্মাণশিল্প বিশেষজ্ঞদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিশ্বব্যাপীই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে শক্তি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব নির্মাণের ওপর। প্রচলিত উপকরণের চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী নতুন এবং উন্নতমানের নির্মাণসামগ্রী। যা অনেক বেশি কার্যকর এবং টেকসই হয়। একই সঙ্গে নির্মাণ খরচও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে হচ্ছে তার বিপরীত। দেশের সব নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই এখনো বিএনবিসি-২০২০ সালের কোড ব্যবহার করছে। এমনকি কেউ কেউ বিএনবিসি-২০০৬ সালের কোড অনুসরণ করছে। যা ১৯৯৩ সালে লেখা হয়েছিল। পুরোনো ওই কোডগুলো অনেকটাই পিছিয়ে বর্তমান সময়ের নির্মাণসামগ্রী, প্রযুক্তি এবং ডিজাইন দর্শন থেকে। পাশাপাশি পুরোনো বিল্ডিং কোড অনুসরণ করায় জটিলতা তৈরি হচ্ছে নতুন প্রকৌশলীদের মাঝে। ফলে ব্যয়বহুল হয়ে পড়ছে কাঠামোর নকশাও। বিশেষ কমে যাচ্ছে করে স্টিল-কংক্রিট কম্পোজিট কাঠামোয় উন্নত মানের শক্তি, সাশ্রয়ী উপকরণ ব্যবহারের সুযোগ। নির্মাতারা সনাতনী ও ব্যয়বহুল নির্মাণ পদ্ধতির ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছে। আর পুরোনো কোডে নির্মিত ভবনগুলোর বাসিন্দাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ও আলোকায়নে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাছাড়াও পুরোনো কোড স্থপতি ও প্রকৌশলীদের নকশার স্বাধীনতাকে সীমিত করে এবং পরোক্ষভাবে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে দেয়।

সূত্র জানায় নির্মাণশিল্পে নিয়মিত কোড আপডেটের মাধ্যমে আধুনিক উপকরণের ব্যবহারকে উৎসাহ দেয়া জরুরি। বিগত ২০২০ সালে বিএনবিসি সর্বশেষ ‘এসিআই ৩১৮-০৮’ অনুসরণ করে হালনাগাদ করা হয়। অথচ উন্নত বিশ্বে অনুসরণ করা হচ্ছে বিল্ডিং কোড ‘এসিআই ৩১৮-২৫’। দেশে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড অ্যানফোর্সমেন্ট, জেনারেল বিল্ডিং রিকুয়ারমেন্টস, কন্ট্রোল অ্যান্ড রেগুলেশন ও ফায়ার প্রটেকশনের মতো বিষয়ে আইন হওয়া প্রয়োজন। কারণ নকশা ও নির্মাণের বিষয়টি গবেষণাভিত্তিক। যা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়। যা গেজেট আকারে প্রকাশ করার মতো বিষয় নয়। তবে বিল্ডিং কোডের কতটুকু অংশ গেজেটেড হবে আর কতটুকু হবে না সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।

এ প্রসঙ্গে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. রাকিব আহসান জানান, বাংলাদেশে নির্মাণশিল্পে যে বিল্ডিং কোড অনুসরণ হয় তা বর্তমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যে বিল্ডিং কোড বিএনবিসি-২০২০ হিসেবে গেজেট হয়েছে তা মূলত এসিআই ৩১৮-০৮ ভার্সনকে অনুসরণ করা হয়েছে। ফলে নির্মাণের নতুন উপকরণের ব্যবহারের বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে, যা প্রকৌশলীদের বিভ্রান্ত করছে। তাতে করে খরচ যেমন বাড়ছে, তেমনই নির্মাণশিল্পও নানান দিকে পিছিয়ে পড়ছে।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...