তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

বছরের বেশির ভাগ সময়ই বন্ধ থাকছে রেলের কংক্রিট স্লিপার তৈরির কারখানা

সকালের দেশ এক্সক্লুসিভ :
প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ
বছরের বেশির ভাগ সময়ই বন্ধ থাকছে রেলের কংক্রিট স্লিপার তৈরির কারখানা

বছরের বেশির ভাগ সময়ই বন্ধ থাকছে রেলের কংক্রিট স্লিপার তৈরির কারখানা। বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র কংক্রিট স্লিপার কারখানাটি হচ্ছে সুনামগঞ্জের ছাতক কংক্রিট স্লিপার প্লান্ট। চলতি বছরের সাত মাসে দুই দফায় মাত্র ৫০ দিন ওই কারখানা সচল ছিল। আর গত ২৯ জুলাই তৃতীয় দফায় চালু হলেও তা ঠিকাদারের মালপত্র বুঝে নেয়া পর্যন্ত চলবে। মূলত কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, অবহেলা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে স্লিপার কেনার আগ্রহ, জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণেই সরকারি ওই কারখানাটি বন্ধ থাকে বছরের বেশির ভাগ সময়ই। কোনো কোনো সময়ে পুরো বছরই উৎপাদন বন্ধ থাকে। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, কারখানায় জনবল সংকটের কারণে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেই কংক্রিট স্লিপার কিনছেন তারা। বাংলাদেশ রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকারি কংক্রিট স্লিপার কারখানাটি চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বন্ধ হয়। প্রথম দফা গত ২ ফেব্রুয়ারি চালু হয়ে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি চালু হয়। দ্বিতীয় দফায় গত ৪ মে চালু হয়ে কাঁচামালের অভাবে ২৯ মে বন্ধ হয়ে যায়। দুই মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৯ জুলাই পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অনেকের ধারণা, কারখানাটি খুব বেশি দিন চালু থাকার সম্ভাবনা নেই। মূলত রেলওয়ের ভেতরে ও বাইরে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের অব্যাহত দুর্নীতিই কারখানাটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ফলে কারখানাটির উৎপাদন অনিয়মিত হয়ে পড়ে।

সূত্র জানায়, বিগত ১৯৮৮ সালে দৈনিক ২৬৪টি স্লিপার উৎপাদনক্ষমতা নিয়ে ছাতকের কংক্রিট স্লিপার প্লান্টের যাত্রা শুরু হয়। কাঠের তৈরি স্লিপারের স্থায়িত্ব গড়ে ১০ বছর আর কংক্রিট স্লিপারের স্থায়িত্ব ৫০ বছরের মতো হওয়ায় তৎকালীন সরকার দেশের রেললাইনকে মজবুত, টেকসই ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে ছাতকে দেশের একমাত্র কংক্রিট স্লিপার কারখানা স্থাপন করে। কারখানাটি উৎপাদন শুরুর পর থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ভালোই চলছিল। তবে ২০১২, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০২০ সালে কয়েকবার কারখানাটি বন্ধ থেকে চালু হলেও বেশি দিন ছিল না তার স্থায়িত্ব। যান্ত্রিক ত্রুটি ও কাঁচামাল সংকটের কারণে এ স্লিপার প্লান্টটি এখন বছরের বেশির ভাগ সময়ই বন্ধ থাকে। এরই মধ্যে বেসরকারি তিনটি কংক্রিট স্লিপার প্লান্ট পঞ্চগড়, বাংলাবান্ধা ও জামালপুরে গড়ে উঠেছে। এখন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেখান থেকেই স্লিপার সংগ্রহ করে। আর ছাতক কংক্রিট স্লিপার কারখানাকে পরিকল্পিতভাবে জনবল শূন্য করে রাখা হয়।

এদিকে রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের মতে, স্লিপার কারখানাটির গুরুত্বপূর্ণ পদসহ বেশির ভাগ পদ শূন্য রয়েছে। ওয়েল্ডার গ্রেড-১, লাইনম্যান কাম ওয়্যার গ্রেড-২, সহকারী ল্যাবরেটরি, গাড়িচালক, টুলকিপার, ট্রাভারসার অপারেটর, কাস্টিং মেশিন অপারেটর, মেশিনিস্ট, মেকানিক, কংক্রিট মিক্সার অপারেটর, ডিমোল্ডিং অপারেটর, সহকারী ক্রাশার অপারেটর, সহকারী ল্যাবরেটরি হেলপার, ওয়েল্ডার হেলপার, টেনশনিং হেলপার, নিরাপত্তা প্রহরী, খালাসি, পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে জনবল সংকট রয়েছে। এককথায় বর্তমানে প্রায় কর্মকর্তা শূন্যছাতক রেলওয়ে ও কংক্রিট স্লিপার কারখানা। আর যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা বেশির ভাগ সময়ই ঢাকা ও সিলেটে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ে সিলেটের সিনিয়র সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (ছাতক অতিরিক্ত দায়িত্ব) আজমাঈন মাহতাব জানান, ছাতক কংক্রিট স্লিপার প্লান্টের উৎপাদন বন্ধ ছিল। ২৯ জুলাই থেকে ঠিকাদারের সহযোগিতা নিয়ে পুনরায় কারখানাটি চালু হয়েছে। জনবল না থাকার কারণে ঠিকাদারের সহযোগিতা নেয়া লাগছে। মালামাল বুঝে নেয়া পর্যন্ত তারা সহযোগিতা করবে। আর স্থায়ী জনবল নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এভাবে চলবে কারখানাটি।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...