তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

জাহাজ চলাচল সীমিত করে উল্টোপথে হাঁটছে কর্তৃপক্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫, ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ
জাহাজ চলাচল সীমিত করে উল্টোপথে হাঁটছে কর্তৃপক্ষ

চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানোর অজুহাতে জাহাজ চলাচল সীমিত করে বন্দর কর্তৃপক্ষ উল্টোপথে হাঁটছে বলে বন্দর ব্যবহারকারীদের অভিযোগ। তাদের মতে, বন্দরের জাহাজ সংখ্যা কমানোর উদ্যোগ অদ্ভুত ও অযৌক্তিক। যেখানে সমুদ্রগামী জাহাজের সংখ্যা বাড়লে পণ্যের গতি ও বাণিজ্যিক সুযোগ বাড়ে। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অপারেশনাল দক্ষতা বাড়ানোর যুক্তি তুলে ধরে অনুমোদিত জাহাজের সংখ্যা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। অথচ পৃথিবীর সব বন্দরে জাহাজ পেতে মার্কেটিং করা হয়। আর এদেশে জাহাজ না আনার জন্য উল্টো আদেশ দেয়া হচ্ছে। বন্দর ব্যবহারকারীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেদের সীমাবদ্ধতা ভিন্নভাবে ঢাকতে চাচ্ছে। বিগত ঈদে দীর্ঘ ছুটি, বেসরকারি ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ বন্ধ রাখাসহ নানা কাজের খেসারতকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে। মূলত বন্দরের প্রশাসনিক কাঠামো এবং কাস্টমস প্রক্রিয়া ডিজিটাল না হওয়া বন্দরের মূল অন্তরায়। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ডিজিটাল না হওয়ায় পণ্য খালাসে স্বাভাবিক সময়েই দেরি হয়। তাতে বেড়ে যাচ্ছে জাহাজের গড় অবস্থানকাল। বন্দরে জাহাজ ভেড়ার পর পণ্য ওঠানো-নামানোর গতি ঠিক থাকলেও কাস্টমসের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত কনটেইনার ছাড়া যায় না। ওই প্রক্রিয়ায় ইনভয়েস যাচাই, ফিজিক্যাল পরীক্ষণসহ অনেক ম্যানুয়াল কাজ জড়িত, যা চট্টগ্রাম বন্দরের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাকে পেছনের সারিতে ঠেলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজ মালিকদের সংগঠনের কাছে বাদ দেয়ার তালিকায় গিয়ারড ও গিয়ারলেস উভয় ধরনের ১৫টি জাহাজের নাম জমা দিতে সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি দিয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে ১৬টি জাহাজ একসঙ্গে বার্থিং করা যায়, তার মধ্যে ১০টি বার্থ বিশেষ করে কনটেইনার জাহাজের জন্য বরাদ্দ। জাহাজ চলাচলের সংখ্যা বাড়লে বহির্নোঙরে জাহাজের অপেক্ষার সময় (ওয়েটিং টাইম) বাড়ে। তাই বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে জাহাজ চলাচল কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ৯৬টি অনুমোদিত জাহাজ ছিল। তখন বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যা ছিল সাত-আট। ওয়েটিং টাইমও দুদিনের মধ্যে ছিল। কিন্তু অ্যাডহক ভিত্তিতে অনুমোদিত কিছু অতিরিক্ত কনটেইনার জাহাজের কারণে বর্তমানে সংখ্যা ১১৮টিতে দাঁড়িয়েছে। ফলে বহির্নোঙরে অপেক্ষার সময় যেমন বেড়েছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে অপারেশনাল কার্যক্ষমতা। তাতে আন্তর্জাতিকভাবে বন্দরটির নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অনুমোদিত কনটেইনার জাহাজের সংখ্যা ৯৬ থেকে ১০০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় বন্দর।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে শুধু গিয়ারলেস ১৪টি জাহাজ বহির্নোঙরে দাঁড়িয়ে আছে। স্বাভাবিক সময়ে ওসব জাহাজ তিনদিনের মধ্যে জেটিতে ভেড়ার কথা থাকলেও এখন ৮-১০ দিন লাগছে। ওসব জাহাজে রয়েছে পোশাক খাতের কাঁচামাল ও শিল্পপণ্য। গিয়ারলেস জাহাজগুলোর কোনো নিজস্ব লোডিং-আনলোডিং যন্ত্র থাকে না। ওই জাহাজগুলো পণ্য খালাস বা তোলার জন্য সম্পূর্ণভাবে বন্দরের যন্ত্রপাতির ওপর নির্ভর করে। আর গিয়ারড জাহাজ হলো ওই জাহাজ, যেগুলোর নিজস্ব লোডিং-আনলোডিং যন্ত্র (যেমন ক্রেন) থাকে। ওই জাহাজগুলো নিজেই পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ করতে পারে, বন্দরের যন্ত্রের ওপর নির্ভর করতে হয় না। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দরে চলাচলরত অনুমোদিত মোট জাহাজ থেকে কমপক্ষে ১৫টি গিয়ারড ও গিয়ারলেস জাহাজ কমাতে শিপিং এজেন্টদের লিখিতভাবে সময় বেঁধে দিয়েছে। অথচ যেসব জাহাজ নিয়মিত কার্গো বহন করছে না কর্তৃপক্ষ সেগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারতো। তাছাড়া অনুমোদন নিয়েও যেসব জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসেনি, সেসব জাহাজের ক্ষেত্রে অনুমোদন বাতিল করার পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। কিন্তু এভাবে জাহাজ বাদ দিতে বলা কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। জাহাজে কার্গো নমিনেশন হয়ে যাওয়ায় বাদ দিতে গেলে রি-নমিনেশন চার্জ গুনতে হবে। যা মেইন লাইন অপারেটরদের জন্য ব্যয়বহুল এবং পণ্যের দামে প্রভাব ফেলবে।

সূত্র আরো জানায়, বিগত ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে বন্দরের ডেলিভারি কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তারপর বড় ধাক্কা ছিলো এনবিআর কর্মকর্তাদের শুল্কায়ন কাজ বন্ধ রাখা। মূলত এ রকম নানা বিষয়ের প্রভাবেই বন্দরে জাহাজজট বেড়েছে। ফলে জাহাজগুলো এসে আবার ৪৮ ঘণ্টায় বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা সেটা সম্ভব হচ্ছে না। বরং এখন শুধু জেটিতে ভেড়ার পরই ওসব জাহাজের সময় লাগছে ৭২ ঘণ্টারও বেশি। আর জেটি খালি না পেয়ে বহির্নোঙরে অন্য জাহাজগুলো এক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় অলস পড়ে আছে। কনটেইনার বা লাইনার ব্যবসায়ীদের নিয়মিত চট্টগ্রাম বন্দরে আসা-যাওয়ায় আছে। তারা কমপক্ষে জাহাজকে ছয় মাসের জন্য চার্টার করে। একটা জাহাজে কার্গো নমিনেশন হয়ে গেলে সেটাকে বাদ দেয়া মানে রি-নমিনেশন চার্জ, মেইন লাইন অপারেটরদের জন্য খরচ বাড়বে। ফলে আমদানি-রফতানির খরচও বাড়বে। অথচ কাস্টমস প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে বলা হলেও আসলে প্রপার ডিজিটাইলাইজেশন এখনো হয়নি। ফলে কোনো কারণ না থাকলেও জাহাজ বন্দরে চলে আসার পর ব্যবসায়ীরা পণ্য হাতে পেতে দীর্ঘ সময় লাগছে।

এদিকে বন্দর ব্যবহারকারীদের মতে, ঈদুল আজহার ১০ দিনের ছুটি শেষে বন্দরে গিয়ারলেস জাহাজজট শুরু হয়েছে। তখন থেকেই বন্দরে আমদানি পণ্য খালাসে স্থবিরতা তৈরি হয়। সাধারণত ৪৮ ঘণ্টায় সেল করা জাহাজগুলো এখন ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় নিচ্ছে। গিয়ারলেস জাহাজ এনসিটিতে চারটি ও সিসিটিতে দুটিসহ মোট ৬টি জাহাজ একসঙ্গে ভেড়ানো যায়। একেকদিন করে সময় বাড়লে সার্বিক জাহাজ পরিচালনায় চরম চাপ তৈরি হয়। অথচ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে জাহাজ সংখ্যা কমানোর বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি অনলাইন বিলিং ও এক্সপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্ট (ইজিএম) জমা প্রক্রিয়াও জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ব্যবসায়ীদের মতে, বন্দর অপারেশনাল সমস্যার সমাধান ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে হতে হবে। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, এনওসি, ইন্সপেকশন ও কনসাইনমেন্ট রিলিজ সবখানেই দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে। সময়মতো জাহাজ না পেলে সরবরাহ চেইন ও উৎপাদনে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। আর জাহাজ বন্দরে আসার পরও খালাস প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে না পারাটা শুধু ব্যবসায়িক ক্ষতি নয়, বরং ড্যামারেজ হিসেবে প্রচুর ডলার দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। মূলত কাস্টমস, বন্দর, বিএসটিআই, ব্যাংকসহ অনেক সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবই বড় সমস্যা। একটির বিলম্ব মানেই পুরো প্রক্রিয়া বন্ধ।

অন্যদিকে কাস্টমস সংশ্লিষ্টদের মতে, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া এখনো শতভাগ আধুনিক হয়নি। তবে ধাপে ধাপে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম আরো শক্তিশালী করা হয়েছে। প্রায়ই দেখা যায় বিল অব এন্ট্রিতে অসংগতি থাকে, যা যাচাই করতে সময় লাগে। তাছাড়া নিরাপত্তাজনিত কারণে কিছু পণ্যকে ফিজিক্যাল পরীক্ষা করতেই হয়। বিশেষ করে উচ্চ ট্যারিফ আইটেমে। তাতে জাহাজে রাখা কনটেইনার খালাসে দেরি হয় কিন্তু সেটা বন্দরের নীতি বা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করা হয়। আরো যেসব প্রযুক্তিগত কাজ চলমান আছে সেগুলো বাস্তবায়ন হলে আশা করা যায় জাহাজের অবস্থানকাল আরো কমে আসবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই দেশের আমদানি-রফতানি ব্যাহত করতে চাই না। কিন্তু বাস্তবতা হলো বন্দরে অতিরিক্ত ভেসেল চলাচলের কারণে বহির্নোঙরে জাহাজের ভিড় বেড়েছে। এতে গড় ওয়েটিং টাইম বেড়ে যাচ্ছে, যার প্রভাব পড়ে সামগ্রিক টার্ন অ্যারাউন্ড টাইমে। তাই আমরা একটি যৌক্তিক সীমার মধ্যে জাহাজের সংখ্যা রাখতে চাই, যাতে বন্দর আরো কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। তবে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়ার যে জটিলতা সেটা বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।’

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...