তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

দেশের চা বাগানগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে শ্রমিক অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ
দেশের চা বাগানগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে শ্রমিক অসন্তোষ

দেশের চা বাগানগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ বাড়ছে। অথচ চা খাতের সাথে সরাসরি দেড় লাখ এবং পরোক্ষভাবে আরো ৫ লাখ শ্রমিক জড়িত। সব মিলিয়ে এখন বহুমুখী সংকটে দেশের চা খাত। নগদ অর্থ সংকটে এর মধ্যে ৩১টি চা বাগানে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও সুবিধা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। যার ফলে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে গোটা চা উৎপাদন ব্যবস্থাপনা। ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক দৈন্যদশা ও প্রশাসনিক জটিলতায় পাঁচটি বাগান তাদের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। আর যেসব বাগান এখনো চালু সেগুলোও দেনায় ডুবে আছে। আর স্বল্প উৎপাদনক্ষমতা নিয়ে চলছে। দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক নিলামে অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকার চা বিপণন হয়। শুল্কসহ ব্র্যান্ডিং, সহযোগী পণ্য চিনি-গুঁড়োদুধ ও কনডেন্সড মিল্কের বাজারসহ খাতটির মোট টার্নওভার ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিশ্ববাজারেও দেশের চা রফতানি হয়। কিন্তু চায়ের মতো কৃষিনির্ভর খাতে নেয়া ঋণে মাত্রাতিরিক্ত সুদ, ঋণ পেতে নানা বিড়ম্বনায় এ খাতের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ বন্ধ করে দিচ্ছে। সংকট নিরসনে সরকার উদ্যোগী না হলে লাখ লাখ চা শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে। পাশাপাশি চা উৎপাদন কমলে কর্মসংস্থান হ্রাসের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে চা আমদানি করতে হবে। দেশের চা খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের চা বাগানগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে। শ্রমঘন খাতটির উদ্যোক্তারা শিল্পের মতো ঋণ সুবিধা পেলেও সামপ্রতিক বছরগুলোয় উৎপাদন খরচের সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের বড় পার্থক্যে অধিকাংশ বাগানই লোকসানে রয়েছে।  বর্তমানে পাঁচটি বাগান উৎপাদন বন্ধের পাশাপাশি ৩১টি বাগান শ্রমিকদের মজুরিসহ বিভিন্ন সুবিধা দিতে পারছে না। চা খাতের উৎপাদন পদ্ধতির একটি অংশ কৃষি ধাঁচের হওয়ায় শিল্প প্রকৃতির ঋণ পদ্ধতির কারণে বাগান মালিকরা তীব্র তারল্য সংকটে রয়েছে। আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে প্রায় শতভাগ দেশীয় চাহিদা মেটানো চা খাতের এ সংকট নিরসনে ঋণ পদ্ধতি সহজীকরণ ছাড়াও বাগান মালিকরা কৃষি ঋণ সুবিধার দাবি তুলেছে।

সূত্র জানায়, প্রতি বছর দেশে বিক্রি হওয়া (শুল্ক-কর ব্যতীত) চায়ের মূল্য ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। দেশের ১৭০টি চা বাগান ও ক্ষুদ্র আকারের উদ্যোক্তারা বছরে ১০ কোটি কেজির বেশি চা উৎপাদন করে। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে বাগানগুলোকে টানা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে নিলামে চা বিক্রি করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঋণ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না পাওয়া, তারল্য সংকটে শ্রমিকদের মজুরি, পিএফ, রেশন বকেয়া রাখতে বাগানগুলো বাধ্য হচ্ছে। এমনকি ৮০টি বাগান আর্থিক সংকটে নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না শ্রমিকদের ভবিষ্য তহবিলের চাঁদা। চা খাতে কৃষি ব্যাংকই ৬৫-৭০ শতাংশ ঋণ দেয়। বিপুল বিনিয়োগের খাতটিতে ঋণ প্রদান নিরাপদ হলেও বর্তমানে মোট ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার মতো। অন্য খাতে বিপুল খেলাপি ঋণের কথা জানা গেলেও দেশের চা খাতের উদ্যোক্তাদের খেলাপি ঋণ মাত্র ১০ কোটি টাকার মতো। কিন্তু অপরাপর শিল্প ও উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদানে কড়াকড়ি আরোপের নিয়মটি চা খাতেও আরোপ হওয়ায় বাগানগুলো সংকটে পড়েছে। সামপ্রতিক সময়ে চা খাতের সব সংকট নিরসনে নিয়ম শিথিল করার পাশাপাশি চা বাগান মালিকরা আলাদা নীতিমালা প্রণয়ন, সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ফান্ড প্রদানেরও প্রস্তাব দিয়েছেন।

সূত্র আরো জানায়, চায়ের দাম নির্ধারণে উৎপাদকের কোনো হাত নেই। কারণ দেশের চা উৎপাদন-পরবর্তী বিপণন নিলামনির্ভর। তাছাড়া বিশেষায়িত এ খাতটির উৎপাদন প্রকৃতির ওপর শতভাগ নির্ভরশীল। বিশেষ করে অনুকূল আবহাওয়া, পরিমিত বৃষ্টিপাত চা চাষের জন্য খুবই জরুরি। যে কারণে ঋণ প্রাপ্তিসহ বিভিন্ন ব্যাংকিং লেনদেনে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং (আইসিআরআর) চা খাতে আরোপ করায় উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চা শিল্পের জন্য শস্য বন্ধকি ঋণ, প্রণোদনা প্যাকেজ ঋণ, অন্যান্য ঋণ এবং ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ ও পুনর্গঠনের ওপর থেকে আইসিআরআর উঠিয়ে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন চা বাগানের শস্য ঋণ প্রস্তাবগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন করেনি। যে কারণে অনেক বাগান তীব্র অর্থ সংকটে রয়েছে। শ্রমিকদের বিভিন্ন পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না। তাতে ব্যাহত হচ্ছে বাগানগুলোর উৎপাদন। দেশে এক দশক ধরে ক্রমাগত চায়ের উৎপাদন খরচ বাড়লেও নিলামে বিক্রয় মূল্য আশানুরূপ বাড়ছে না। ২০২৪ সালে চায়ের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রথমবারের মতো ন্যূনতম মূল্যস্তর বসানো হয়। তাতেও চায়ের উৎপাদন খরচ উঠে না আসায় চলতি বছরের ১৪ মে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের চায়ের ন্যূনতম মূল্য কেজিপ্রতি ২৪৫ এবং উত্তরাঞ্চলের বটলিফ চায়ের মূল্য বাড়িয়ে ন্যূনতম ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কেজিপ্রতি সর্বনিম্ন ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা পর্যন্ত ন্যূনতম মূল্য বাড়ানো হলেও উৎপাদন খরচ তুলতে পারছে না অনেক বাগান।

এদিকে চা খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে অনেক শস্য উৎপাদনেই ব্যাংক থেকে ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদে ঋণ পাওয়া যায়। ভর্তুকি মূল্যে সার, কীটনাশক ও বিদ্যুৎ মেলে। কৃষি খাতের উন্নয়ন ও গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুবিধাও রয়েছে। কিন্তু দেশের চা খাতের উৎপাদনের একটি অংশ কৃষিসদৃশ হলেও তারা শুধু ভর্তুকি মূল্যে সার পায়। বর্তমানে বাগানগুলো সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। আবার টানা কয়েক বছর ধরে বেশির ভাগ বাগান উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে চা বিক্রি করায় তাদের পরিচালনা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। বিশেষ করে যেসব উদ্যোক্তা শুধু চা বাগানের ওপর নির্ভরশীল তারা বিকল্প বিনিয়োগ ও তারল্যের অভাবে শ্রমিক মজুরিসহ শ্রমিক-সংশ্লিষ্ট পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না। যে কারণে ২০২৪ সালে দেশের বাগানগুলো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম চা উৎপাদন করেছে।

অন্যদিকে বিগত ২০২২ সালের ভরা মৌসুমে (বর্ষা মৌসুম) শ্রমিক ধর্মঘটে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয় বাগানগুলোর। ওই সময়ে শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হলে চা খাতে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা নতুন খরচ যোগ হয়। তাছাড়া গত বছরের ১১ আগস্ট থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু ক্রমাগত চায়ের দরপতনের ফলে মালিকরা বাড়তি অর্থ জোগান দিতে পারছেন না। আবার ঋণপ্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা, আগের ঋণ পরিশোধে জটিলতা, লোকসানের কারণে নগদ অর্থপ্রবাহের ঘাটতি চা বাগানগুলোকে বড় সংকটে ফেলেছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) ড. পীযূষ দত্ত জানান, বাংলাদেশের চা বাগানগুলোর ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংকট রয়েছে। কৃষিজ উৎপাদনের পাশাপাশি চা পাতা চয়নের পর চা উৎপাদন শিল্পের কারণে এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। যে কারণে সামপ্রতিক সময়ে উৎপাদন খরচের সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের অসংগতিতে অনেক বাগান সংকটে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সব পক্ষই অবগত। এ সংকট নিরসনে সব পক্ষকে নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকও হয়েছে। আশা করা যায় উৎপাদনমুখী খাতটির তারল্য সরবরাহ বাড়ানোসহ স্বল্প সুদে ঋণপ্রাপ্তির বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছবে। সংকটে থাকা বাগানগুলোর পাশাপাশি অচিরেই কেটে যাবে পুরো চা ইন্ডাস্ট্রির এ সংকট।

একই প্রসঙ্গে বাংলাদেশী চা সংসদের সভাপতি কামরান তানভিরুর ইসলাম জানান, ‘সম্পূর্ণ প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল কৃষি উৎপাদনে ১৪-১৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করা যায় না। সম্পূর্ণ সামাজিক উদ্যোগের চা খাতে শ্রমিকের সব চাহিদা পূরণ করা হলেও শুধু উৎপাদন খরচের সঙ্গে লাভ যুক্ত করে পণ্য বিক্রির সুযোগ বাগান মালিকদের নেই। নিলামের ওপর নির্ভরশীল থাকায় লোকসানে ৩১টি বাগান চরম সংকটে রয়েছে। দ্রুত এ সংকট নিরসন করা না গেলে ক্রমান্বয়ে দেশের আরো অনেক বাগান বন্ধ হয়ে যাবে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে জানানো হয়েছে। তবে  বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আইসিআরআরজনিত কারণে ঋণপ্রাপ্তির প্রতিবন্ধকতা নিরসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...