তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় সাহসিকতার প্রতীক মাহেরীন চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ণ
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় সাহসিকতার প্রতীক মাহেরীন চৌধুরী

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সোমবার (২১ জুলাই) ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী আজ দেশের মানুষের চোখে এক সাহসিকতার প্রতীক। জীবন বাজি রেখে অন্তত ২০ শিক্ষার্থীর প্রাণ রক্ষা করা এই শিক্ষক নিজের দায়িত্ববোধ ও মমত্ববোধের যে অনন্য উদাহরণ রেখে গেছেন, তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে শিক্ষাঙ্গন ও সমাজজীবনের প্রতিটি স্তরে।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে ক্লাস চলাকালে মাইলস্টোন স্কুলের পাশের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় আশপাশে, সৃষ্টি হয় হাহাকার। তখনও নিজের দায়িত্বে অটল থেকে ছোট ছোট শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সচেষ্ট হন মাহেরীন। একপর্যায়ে নিজেই আগুনে আটকে পড়েন তিনি। তার শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়। গুরুতর অবস্থায় নেওয়া হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে, যেখানে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেল ৪টায় নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়ার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন হাজারো মানুষ—যারা শোকের পাশাপাশি গর্বে তাদের প্রিয় মেয়েকে বিদায় জানান।

মাহেরীন চৌধুরী ছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা ভার্সনের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির কো-অর্ডিনেটর। তিনি শুধু একজন শিক্ষক ছিলেন না, ছিলেন শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবী এবং একজন মানবিক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। জন্মগ্রহণ ও বড় হওয়া ঢাকায় হলেও তার শেকড় ছিল নীলফামারীর জলঢাকায়। মাত্র দুই মাস আগে তার পূর্বপুরুষদের প্রতিষ্ঠিত বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি আধুনিক শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলার।

মাহেরীনের স্বামী মনছুর আলী হেলাল, যিনি একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী, জানান—দুর্ঘটনার মুহূর্তে মাহেরীন অক্ষত ছিলেন। কিন্তু নিজের জীবনকে উপেক্ষা করে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন। বেশ কয়েকজনকে নিরাপদে বের করে আনতে পারলেও এক পর্যায়ে বিস্ফোরণে তিনি মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন।

এই শিক্ষিকার আত্মত্যাগ পরিবার ও সহকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও আবেগাপ্লুত করেছে। এলাকাবাসী জানায়, মাহেরীন নিয়মিতভাবে গ্রামের মানুষের খোঁজখবর রাখতেন, দুঃসময়ে পাশে থাকতেন, দান-অনুদান দিতেন, এমনকি কালভার্ট নির্মাণ ও শিক্ষা উন্নয়নে নিজ উদ্যোগে কাজ করেছেন। শিক্ষানুরাগী হিসেবে এলাকায় তার সুপরিচিতি ছিল। তার চাচা রিকো চৌধুরী জানান, দুই বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিলেন মাহেরীন এবং ছোটবেলা থেকেই মানবিক কাজে যুক্ত ছিলেন।

মাহেরীনের ভাই মুনাফ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের আপা ছিলেন আমাদের দ্বিতীয় অভিভাবক। মা-বাবা মারা যাওয়ার পর তিনিই আমাদের আগলে রেখেছিলেন। এখন আবার আমরা এতিম হয়ে গেলাম।’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও প্রশাসনের সদস্যরাও মাহেরীনের আত্মত্যাগে শোকাহত। বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহুবার রহমান বলেন, ‘তিনি শুধু আমাদের সভাপতি ছিলেন না, ছিলেন একজন স্বপ্নবান শিক্ষক, যিনি গ্রামের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন চেয়েছিলেন। তার সেই স্বপ্ন আজ অসমাপ্তই থেকে গেল।’

মাহেরীন চৌধুরীর বিশ্ববিদ্যালয় সহপাঠী আলী আহমেদ মাবরুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘তিনি ছিলেন সাদামাটা, উদার, দায়িত্বশীল ও সাহসী মানুষ। তিনি ছিলেন একজন মা, শিক্ষক এবং একজন বীর।’

মাহেরীনের আত্মত্যাগ শুধু তার পরিবার বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, পুরো জাতিকে নাড়া দিয়েছে। তার মৃত্যু যেমন গভীর শোকের, তেমনি দেশের জন্য এক গর্বিত অধ্যায়। এমন একজন সাহসী নারী শিক্ষক আমাদের সমাজে শিক্ষকদের ভূমিকা ও দায়িত্ববোধের নতুন মানদণ্ড তৈরি করে গেলেন।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...