তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

এই ৫ খাবার থেকে দূরে রাখুন শিশুকে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ
এই ৫ খাবার থেকে দূরে রাখুন শিশুকে

শিশুর সুস্থ ও সুরক্ষিত ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ে ওঠে তার শৈশব থেকেই। আর এই গঠনের অন্যতম নিয়ামক হলো সঠিক খাদ্যাভ্যাস। বেশিরভাগ মা-বাবাই চান সন্তানের পাতে সেরা পুষ্টির নিশ্চয়তা দিতে। কিন্তু অজান্তেই এমন কিছু খাবার প্রতিদিন শিশুর শরীরে প্রবেশ করছে, যা বাইরে থেকে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও আসলে ক্ষতি করছে ভেতর থেকে। রঙিন মোড়ক আর লোভনীয় বিজ্ঞাপনের আড়ালে এই খাবারগুলো শিশুদের জন্য হয়ে উঠতে পারে বিপদের কারণ। চলুন জেনে নেই এমন পাঁচটি খাবারের কথা, যেগুলো আমাদের অজান্তেই শিশু ক্ষতি করছে-

সকালে প্রক্রিয়াজাত পানীয়, পুষ্টির মোড়কে ক্ষতির ফাঁদ

সকাল শুরু হোক স্বাস্থ্যকরভাবে-এই চিন্তায় অনেকেই শিশুদের দেন ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল বা প্রক্রিয়াজাত পানীয়। কিন্তু অধিকাংশ সিরিয়ালে চিনি থাকে এমন পরিমাণে, যা মিষ্টির থেকেও বেশি ক্ষতিকর। উজ্জ্বল রঙ আর আকর্ষণীয় গন্ধের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এই সিরিয়ালগুলো ওজন বাড়ায়, শিশুর শক্তি কমিয়ে দেয় এবং অন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করে। অন্যদিকে, কোমল পানীয় বা জুসজাতীয় পানীয়তে থাকে শুধু চিনি ও ক্যালোরি-যা কোনো পুষ্টিগুণ ছাড়াই শিশুর স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

স্বাদযুক্ত দই, মিষ্টি মোড়কে লুকানো চিনির বিস্ফোরণ

দইকে আমরা সাধারণত স্বাস্থ্যকর বলেই জানি। কিন্তু বাজারে সহজলভ্য স্বাদযুক্ত দইয়ে মেশানো থাকে কৃত্রিম মিষ্টি, রঙ ও সংরক্ষক পদার্থ। এসব দই শিশুর দাঁতের ক্ষয়, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই স্বাভাবিক টক দইয়ের সঙ্গে সামান্য মধু, ফল বা বেরি মিশিয়ে খাওয়ানোই হবে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত বিকল্প।

রেডি-মেড পপকর্ন

সিনেমা দেখা বা আড্ডার সময় পপকর্ন যেন অবধারিত সঙ্গী। তবে দোকানে পাওয়া মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন শিশুর জন্য আদৌ নিরাপদ নয়। এসব প্যাকেটজাত পপকর্নের ব্যাগে ব্যবহার করা হয় ‘পিএফএএস’ নামের রাসায়নিক, যাকে বলা হয় ‘ফরএভার কেমিক্যাল’। গবেষণায় দেখা গেছে, এই পদার্থ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে এবং শারীরিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। পপকর্ন খাওয়াতে চাইলে তা বাড়িতে প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করে দেওয়াই উত্তম।

প্রক্রিয়াজাত মাংস

হট ডগ, সসেজ বা ডেলি মিট-বাচ্চারা এগুলো খেতে ভালোবাসলেও এর পেছনের স্বাস্থ্যঝুঁকি ভয়ংকর। প্রক্রিয়াজাত এই মাংসজাত পণ্যে থাকা সোডিয়াম, নাইট্রেট ও প্রিজারভেটিভ একদিকে যেমন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, অন্যদিকে রক্তচাপের ভারসাম্যও বিঘ্নিত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ধরনের মাংসকে গ্রুপ-১ কার্সিনোজেন হিসেবে বিবেচনা করে। তাই নিয়মিত স্কুল টিফিনে এই জাতীয় খাবার এড়ানোই উচিত।

অতিরিক্ত ভাজাপোড়া

চিপস, ফ্রাই, চিকেন নাগেট বা বাজারে পাওয়া রেডি-টু-কুক ভাজা খাবার-এসবই শিশুর কাছে প্রিয়, কিন্তু শরীরের জন্য ভয়ংকর। এসব খাবারে ট্রান্স ফ্যাট, উচ্চমাত্রার ক্যালোরি এবং ক্ষতিকর অ্যাডিটিভ থাকে। এগুলো খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। ভাজা খাবার বাদ না দিয়ে তা স্বাস্থ্যকর উপায়ে যেমন-এয়ার-ফ্রায়ার বা বেকিং পদ্ধতিতে তৈরি করাই হতে পারে ভালো বিকল্প।

সব খাবারই যদি শুধুমাত্র স্বাদ দিয়ে যাচাই করা হয়, তবে স্বাস্থ্য অজান্তেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিশুর খাদ্য তালিকা তৈরি করার সময় প্যাকেটের পেছনে লেখা উপাদান পড়া, কম প্রক্রিয়াজাত খাবার বেছে নেওয়া এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুত খাবার পরিবেশন করাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ আজকের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসই গড়ে তুলবে আগামীর সুস্থ প্রজন্ম।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...