তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

গাড়ির অভাবে কমে গেছে পুলিশি টহল

আলম শাওন,বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ
গাড়ির অভাবে কমে গেছে পুলিশি টহল

গাড়ির অভাবে কমে গেছে পুলিশের টহল কার্যক্রম। এক বছর আগে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকালে বেশ কিছু থানা ও পুলিশের বিপুলসংখ্যক যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়। তারপর থেকেই দেশজুড়েই পুলিশ বিভাগ তীব্র গাড়ি সঙ্কটে ভুগছে। ফলে যানবাহনের অভাবে সম্ভব হচ্ছে না যথাযথ নাগরিক সেবা দেয়া। থানা পুলিশের টহলসহ নিয়মিত কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি অপরাধের খবরে লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি নিয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলেও পৌঁছতে পারছে না। পুলিশের প্রায় সকল ইউনিটের কাজই প্রয়োজনীয় বাহন না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় সাড়ে চার হাজার যানবাহন সংকট নিয়েই পুলিশ বাহিনীকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। তাতে রেসপন্স টাইম বেশি লাগার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমও ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। পুলিশ বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পুলিশ বাহিনীতে বর্তমানে ৪ হাজার ৪৪৭টি যানবাহনের ঘাটতি রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মোটরসাইকেলের ঘাটতি ৩ হাজার ৪৯৭টি। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পুলিশের প্যাট্রোল ডিউটিতে এ বাহনটিই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। তাছাড়া ডাবল কেবিন পিকআপেরও ঘাটতি রয়েছে। যা দিয়ে টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জরুরি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ধরনের মোট ৫০৭টি গাড়ির সংকট রয়েছে। তাছাড়াও সর্বমোট ৪৪৩টি এসইউভি (স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেহিকল) বা জিপ গাড়িরও পুলিশ বাহিনীতে ঘাটতি রয়েছে। এসইউভি বা জিপ শ্রেণীর গাড়িগুলো সাধারণত এএসপি থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবহার করে থাকে। যারা মূলত জেলা বা উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা এবং অভিযানের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকেন।

সূত্র জানায়, বর্তমানে বিদ্যমান যানবাহন দিয়ে কঠিন হয়ে পড়েছে থানাগুলোর রুটিন ডিউটি চালানো। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মোটরসাইকেল ও ডাবল কেবিন পিকআপ সংকটের কারণে। প্যাট্রোল ডিউটি পরিচালনায় মফস্বল এলাকায় কোথাও অপরাধ সংঘটিত হওয়ার খবর পেলে প্রথমে মোটরসাইকেল নিয়ে সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) এবং কনস্টেবল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) বা পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা কনস্টেবল সঙ্গে নিয়ে ছুটে যান ঘটনাস্থলে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ডাবল কেবিন পিকআপ গাড়ি সংকটের কারণে অনেক ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজন হলেও অভিযান পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। গত বছর দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকালে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা করে সব মিলিয়ে ১ হাজার ১৪৬টি গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তাতে ২৮৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।

সূত্র আরো জানায়, থানার কার্যক্রম ক্ষমতার পালাবদলের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও গাড়ির অভাবে কমে গেছে পুলিশি টহল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ রোধে সবসময়ই সংশি­ষ্ট থানা এলাকায একাধিক পুলিশ টিমকে টহলে থাকতে হয়। যেকোনো অপরাধ বা দুর্ঘটনার খবরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে হয়। কিন্তু বেশির ভাগ থানায় যানবাহন সংকট থাকায় ব্যাহত হচ্ছে এ কার্যক্রম। ইতিপূর্বে রাজধানীর যেসব থানায় সাত-আটটি গাড়ি ছিল, সেখানে এখন দুই-তিনটি আছে। ফলে এখন সম্ভব হচ্ছে না গাড়ির প্যাট্রোল ডিউটি। তবে ওই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজধানীর থানাগুলোতে মোটরসাইকেল দিয়ে টিম করে ডিউটির কাজ চলছে। এজন্য অবশ্য রেসপন্স টাইম বেশি লাগছে। আগে যেখানে খবর পাওয়ার ৭-১০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে যেত, এখন সেটা ২০ মিনিট ছাড়িয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাড়া দিতে আধা ঘণ্টাও সময় লাগছে। গাড়ি সংকট এর প্রধান কারণ।

এদিকে এ প্রসঙ্গে পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান, যানবাহনের ঘাটতি পূরণের জন্য কাজ করা হচ্ছে। গুরুত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন ইউনিটে গাড়ি দেয়া হচ্ছে। থানা পুলিশকে যেকোনো ঘটনার খবরে প্রথম এগিয়ে যেতে হয়। তাই থানাগুলোর অগ্রাধিকার বেশি। যানবাহনের ঘাটতি নিরসনে সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিক রয়েছে।

অন্যদিকে এ বিষে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানান. ঈুলিশ বাহিনীতে আগে থেকেই যানবাহন সংকট ছিল। গত ৫ আগস্টের আগে-পরে অনেক যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হলে এ সংকট আরো তীব্র হয়। অফিসারদের গাড়ির অবশ্য অতটা সংকট নেই। কারণ বিগত ১৫ বছরে বহু বিলাসবহুল গাড়ি কেনা হয়েছে। আর ওসব গাড়ি খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্তও হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাঠপর্যায়ের গাড়িগুলো। অভিযানের জন্য ওসব গাড়িই বেশি প্রয়োজন। পাশাপাশি ফোর্স পরিবহনের জন্য ট্রাক, বাস দরকার। এখন এক থানার গাড়ি দিয়ে অন্য থানায় সাপোর্ট দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু নির্বাচনের সময় সব থানারই গাড়ি প্রয়োজন হবে। যানবাহন সংকট তাই পুলিশের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরির কারণ হতে পারে।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...