তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

লোকসানে বন্ধ হচ্ছে পোলট্রি খাতের হাজার হাজার প্রান্তিক ক্ষুদ্র খামার

সকালের দেশ এক্সক্লুসিভ:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ
লোকসানে বন্ধ হচ্ছে পোলট্রি খাতের হাজার হাজার প্রান্তিক ক্ষুদ্র খামার

লোকসানে টিকতে না পেরে পোলট্রি খাতের হাজার হাজার ক্ষুদ্র প্রান্তিক খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই দেশের আমিষ যোগানে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বর্তমানে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের খামারগুলো একের পর এক বন্ধ হচ্ছে । বিগত ২০০৯ সালে সারাদেশে যেখানে ১ লাখ ৮০ হাজার খামার ছিলো, বর্তমানে তা ৫০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। আর গত ছয় মাসেই প্রায় ১০ হাজার প্রানি—ক খামার বন্ধ হয়েছে। মূলত করপোরেট কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে প্রান্তিক ক্ষুদ্র পোলট্রি খামারগুলো টিকতে পারছে। ফলে তাদের  লোকসান গুনতে হচ্ছে দিনের পর দিন। আর এক পর্যায়ে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন খামারিরা। সেক্ষেত্রে অনেক খামারিই কম দামে বাজারে মুরগি বিক্রি করে খামার বন্ধ করে দিচ্ছে। আর এর প্রভাবে দু-এক মাস পরই বাজারে ডিম ও মুরগির সরবরাহ সংকটের পাশাপাশি দামও নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিশ্ববাজারে পোলট্রি ফিড ও ওষুধের দাম কমলেও কমছে না দেশে । এ পরিস্থিতিতে প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কিন্তু প্রান্তিক খামারিকে ন্যায্যমূল্যে ফিড, বাচ্চা ও ওষুধ দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। তাছাড়া বাজারে কীভাবে ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করা যায়, কিভাবে বাজার প্রতিযোগিতা ঠিক রাখা যায় সেই পথ খোঁজাও জরুরি। তা নাহলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিরাও এ পেশায় টিকে থাকতে পারবে না।

সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে চার কোটি পিস ডিমের গড় চাহিদা।  আর মুরগির মাংসের চাহিদা ৫ হাজার ২০০ টন। তার মধ্যে ব্রয়লার থেকে ৩ হাজার ২০০ এবং সোনালি ও লেয়ার থেকে প্রায় ১ হাজার ৭০০ টন সরবরাহ হয়। দেশে প্রায় চার কোটি পিস ডিম উৎপাদন হয়। আর চাহিদার বিপরীতে প্রায় ৮০ শতাংশ প্রান্তিক খামারিরা পূরণ করছে। কিন্তু অব্যাহত লোকসান ও করপোরেট কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিদিনই প্রান্তিক পর্যায়ের বিভিন্ন ডিম-মুরগির খামার বন্ধ হচ্ছে। যা অচিরেই সরবরাহ সংকট তৈরি করবে। তখন ডিম-মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। আরপুরো বাজার ব্যবস্থা চলে যাবে করপোরেটদের হাতে, তখন নিয়ন্ত্রণ বলতে কিছুই থাকবে না।

সূত্র আরো জানায়, প্রান্তিক ক্ষুদ্র পোলট্রি খামারগুলো মধ্যে করপোরেট কোম্পানিগুলোর কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে অস্থিরতার জন্ম দিচ্ছে। আর সিন্ডিকেটের কারণে যেসব ক্ষুদ্র খামারি লোকসানে আছে, তাদের অনেককেই কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে যুক্ত করা হচ্ছে। বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে প্রান্তিক খামারিদের পরিকল্পিতভাবে ক্ষতির মধ্যে ফেলে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাতে ওই কোম্পানি খামারিকে ফিড, ওষুধ, বাচ্চাসহ যাবতীয় সহায়তা দেবে আর তারাই ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণ ও বাজারজাত করবে। তাতে নষ্ট হবে বাজার প্রতিযোগিতা। ক্ষুদ্র খামারিরা মূলত ব্যাংক ঋণ, খাদ্য, ওষুধের বিল দিতে দিতে দিতেই ঋণী হয়ে যাচ্ছে। আর যখন ডিম ও মাংসের দাম কমে যায় তখন খাবার ও ওষুধের দামই উঠে আসে না।  আবারযখন একটু ভালো দাম পাওয়া গেলে তখনকার লাভের অংশ দিয়ে ব্যাংকের ঋণ ও অন্যান্য খরচ টানতে না টানতে আবারো দামের পতন হয়ে যায়। এভাবেই চলছে খামারিরা । বিদ্যুতের দাম, খাবার-ওষুধের দাম বেড়েছে। ব্যাংকের সুদও বেড়েছে। সব মিলিয়ে খামারিদের দমবন্ধ অবস্থা।

এদিকে প্রান্তিক পোলট্রি খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার জানান, রমজান ও ঈদ মৌসুমেও ভয়াবহ লোকসান দিয়ে প্রান্তিক খামারিরা প্রতিদিন ২০ লাখ কেজি মুরগি উৎপাদন করেছেন। এখনো প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে ৩০-৪০ টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। তাছাড়া দৈনিক ৪ কোটি ডিমের মধ্যে প্রান্তিক খামারিরা এখন ৩ কোটি উৎপাদন করেন। কারণ প্রতি ডিমে ২ টাকা করে লোকসান হচ্ছে। এভাবে খামারগুলো আর চলতে পারছে না। ফলে একটা সময় বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। গত ছয় মাসে সারা দেশে ৮-১০ হাজার প্রান্তিক খামার বন্ধ হয়েছে।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শওকত আলী জানান, ডিম-মাংসের ক্ষেত্রে ভোক্তার কথা চিন্তা করা হলেও উৎপাদকের কথা ভাবা হয় হয়। যেখানে একটি ডিম উৎপাদন খরচ ১০ টাকা, সেখানে বিক্রি করতে হচ্ছে প্রায় ৮ টাকার মতো। এভাবে বাজার ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা যায় না। এতে প্রান্তিক খামারিরা ধ্বংস হয়ে যাবে। কয়েক বছর পর দেখা যাবে প্রান্তিক পর্যায়ে এ পেশায় কেউ আসতে চাইবে না। অথচ দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের পুষ্টির একটি বড় উৎস ডিম ও ব্রয়লার মুরগি। এ জায়গা তাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেলে বড় সংকট দেখা দেবে। অনেক দেরি হয়ে যাওয়ার আগে সরকারের এ খাতের দিকে নজর দেয়া জরুরি।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...