তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

জনস্বাস্থ্যের প্রকল্পে নজিরবিহীন অনিয়ম

আলম শাওন,বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ
জনস্বাস্থ্যের প্রকল্পে নজিরবিহীন অনিয়ম

জনস্বাস্থ্যের প্রকল্পে নজিরবিহীন অনিয়ম ঘটেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ শেষের আগেই বেশিরভঅঘ অবকাঠামো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই) কোনো ধরনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ছাড়াই ১ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। মূলত গ্রামীণ জনস্বাস্থ্য, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ‘মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি’ শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল।  কিন্তু প্রকল্পে সুবিধাবঞ্চিত হতদরিদ্র মানুষের জন্য টুইন পিট ল্যাট্রিন, পাবলিক টয়লেট ও হাত ধোয়ার স্টেশনে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। পানি সরবরাহের জন্য নকশাবহির্ভূতভাবে পাইপলাইন বসানো হয়েছে, ব্যবহার হয়েছে নিম্নমানের উপকরণ। তাছাড়া জলাশয় ভরাট করে পাইপলাইন স্থাপন করা হলেও পরিবেশের ছাড়পত্র নেয়া হয়নি। অথচ যাচাই-বাছাই ছাড়াই ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এমনকি কাজের গুণগত মান তদারকে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরিতে বাধা দেয়া হয়েছে। দেশের ৩০ জেলার মানবসম্পদ উন্নয়নের নামে নিম্নমানের কাজ করে বৈদেশিক ঋণের বিপুল অর্থ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদাররা হাতিয়ে নিয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ‘মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি’ শীর্ষক প্রকল্পের মোট বরাদ্দের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ হিসেবে ১ হাজার ৮৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এসেছে। বিশ্বব্যাংক এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হওয়ার আগেই ব্যাপক অনিয়ম, ব্যর্থতা ও দুর্নীতিতে প্রকল্পটি বড় উদাহরণ সৃষ্টি করে। প্রকল্পটির আওতায় গ্রামীণ এলাকার বাসাবাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যসম্মত পাবলিক টয়লেট স্থাপন, কমিউনিটি ক্লিনিকে নতুন স্যানিটেশন ও হাইজিন সুবিধা, হাত ধোয়ার স্টেশন এবং হতদরিদ্র পরিবারের জন্য টুইন পিট ল্যাট্রিন নির্মাণ করার কথা। বিগত ২০২১ সালে একনেক সভায় অনুমোদিত ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারিত ছিলো। অথচ গত এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্ধারিত মেয়াদ শেষের পথে থাকলেও এখনো প্রায় অর্ধেক কাজ বাকি রয়েছে। আর যেগুলো হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই ক্রটিপূর্ণ এবং নিম্নমানের। এককথায় প্রকল্পটিতে উন্নয়নের চেয়ে অপচয় ও দুর্নীতিই বেশিছে। ইতিমধ্যে অকেজো ও পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে প্রকল্পের অনেক স্থাপনাই।

সূত্র জানায়, দরিদ্রদের জন্য অনেক জেলায় তৈরি টুইন পিট ল্যাট্রিনগুলোয় খুবই নিম্নমানের কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া নির্মিত টয়লেটের টাইলস ভেঙে গেছে, নষ্ট হয়ে গেছে ফিটিংস, দরজার কাঠামোও দুর্বল। আর হাত ধোয়ার স্টেশনগুলো ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। তাছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য নির্মিত টয়লেটগুলো অনেক ক্ষেত্রে ক্লিনিক থেকে অনেক দূরে, কোথাও কোথাও আবার ডোবার পাশে নির্মাণ করায় বেশিরভাগ টয়লেট ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আর দরপত্রে উল্লিখিত স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কোথাও বাসাবাড়িতে স্থাপন করা হয়নি পানি সরবরাহের পাইপলাইন। এমনকি চলমান থাকা অবস্থায়ই প্রকল্পের প্রধান অঙ্গগুলো পরিত্যক্ত এবং ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অথচ সাতজন অভিজ্ঞ পরামর্শকের পেছনে প্রায় ২৭ কোটি টাকা খরচ করা হলেও কাজের অগ্রগতি, গুণগতমান এবং রক্ষণাবেক্ষণ প্রশ্নবিদ্ধই রয়েছে। প্রকল্পটি ঠিকমতো বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা দেখভালে বছরে চারটি করে পিআইসি ও পিএসসি সভা হওয়ার কথা। কিন্তু কোনো বছরই ঠিকমতো হয়নি ওই সভাগুলো। আর আলোচ্য প্রকল্পে এ পর্যন্ত দুবার অডিট হয়েছে এবং তাতে বেশ কিছু অডিট আপত্তি উঠে এসেছে। যা এখনো নিষ্পন্ন হয়নি।

সূত্র আরো জানায়, প্রকল্পটির কাজের গুণগতমান নিয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। কাজের গুণগতমান নিশ্চিতের দায়িত্বে থাকা জেলা সমন্বয়কারীরা ঠিকাদারদের কাজের অনিয়ম চিহ্নিত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ায় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তৈরির পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতিবেদন না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। সেজন্যই নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরি থেকে সমন্বয়কারীরা বিরত থেকেছেন। এমনকি জেলা পর্যায়ে সমন্বয়কারীদের টার্মস অব রেফারেন্স অনুসারে ঠিকাদারদের বিল যাচাই-বাছাই বিষয়ে উলে­খ থাকলেও বাস্তবে তাদের ওই ক্ষমতা দেয়া হয়নি। এমনকি অনিয়ম-ত্রুটির জন্য ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, স্বয়ং প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এ অনিয়মে সহায়তা করেছে।

এদিকে অনিয়মের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী মো. তবিবুর রহমান তালুকদার জানান, আইএমইডির প্রতিবেদনে আংশিক তথ্য এসেছে, পুরো প্রকল্পের চিত্র উঠে আসেনি। যেসব জেলায় খারাপ কাজ হয়েছে তারা সেসব জেলা পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিয়েছেন। সব জেলা পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিলে অনিয়মের হার এতো বেশি হতো না। আর এত বড় প্রকল্পের কাজ পিডির একার পক্ষে সব দেখভাল করা সম্ভব নয়। যথাযথভাবে কাজ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। আর কাউকে নেতিবাচক প্রতিবেদন দিতে নিষেধ করা হয়নি।

অন্যদিকে প্রকল্প মূল্যায়ন প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের পেছনে প্রকল্প পরিচালকেরই দায় বেশি। অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালক জেনেশুনেই অনিয়ম করেছে, নিয়মকানুন মানেনি। পরিচালকই ঠিকাদারদের কাজের অনিয়ম নিয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরি না করতে জেলা সমন্বয়কারীদের নির্দেশনা দেন। আর চাকরি বাঁচানোর ভয়ে প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশনা মেনে নেতিবাচক প্রতিবেদন দেয়া বন্ধ করে। প্রকল্প পরিচালকের সহায়তা ছাড়া ঠিকাদারদের পক্ষে এতো বড় অনিয়ম করা সম্ভব নয়। এমনকি আইএমইডির মূল্যায়ন প্রতিবেদন যাতে নেতিবাচক না হয় সে চেষ্টাও করা হয়েছে। আর মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরির কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নেতিবাচক প্রতিবেদন না করার জন্যও বিভিন্নভাবে ম্যানেজ (রাজি করানো) করার চেষ্টা করা হয়।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...