তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

সাবেক দূতাবাস কর্মকর্তা লেদার অস্বচ্ছ দৌরাত্ম্যে উত্তাল রাজশাহী

মশিউর রহমান, রাজশাহী ব্যুরো:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ণ
সাবেক দূতাবাস কর্মকর্তা লেদার অস্বচ্ছ দৌরাত্ম্যে উত্তাল রাজশাহী

ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক সময় ক্ষমতাসীনদের ‘বিশেষ আনুকূল্যে’ নিযুক্ত কর্মকর্তা ছিলেন আমির হোসেন শুভ, এলাকার পরিচিত নাম লেদা। প্রবাস থেকে ফিরে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার শিরোইল মোল্লামিল পাড়া ঘিরে এখন যত গুঞ্জন, তার শিকড় লেদার অদৃশ্য অর্থ আর প্রভাবেই গাঁথা—এমনটাই বলছে স্থানীয়রা।

ব্রুনাইয়ের পদে থাকাকালীন সময় তাঁকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল ভিসা–বাণিজ্য ও ঘুষের বাজার। প্রবাসী শাহিনুরসহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, রাজনৈতিক ছাতার নিচে লেদা সেসময় অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থ হাতিয়েছেন। ৫ আগস্টের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান, সরকারের পতন আর দূতাবাস–সংস্রবের ইতি টেনেই তিনি দেশে ফেরেন। তারপর শুরু হয় আরেক দৃশ্যপট।

নিজ এলাকায় ফিরেই পৈত্রিক জমিতে পাঁচতলা ভবন তুলতে হাত দেয় লেদা পরিবার। বড় ও ছোট দুই বোন ভাগবাটোয়ারা চেয়ে আদালতের আশ্রয় নিলে প্রথমে শান্তি-শৃঙ্খলার নির্দেশ, পরে স্থিতি–নিষেধ—দুটি আদেশই মানেননি লেদা। থানা প্রতিবেদনেও নালিশি জমিতে কাজ বন্ধের সুপারিশ ছিল, কিন্তু নির্মাণকাজ চলে অবাধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জমিতে গেলে লেদা ও তাঁর সহযোগীরা মামলা আর দখল হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। একই বাড়িতে থাকা তাঁর বোন নাসরিন পারভীন পুচি স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি; আরেক ভাই হাবিবুল্লাহ খান নাটকা জমি দখলে সক্রিয়, বলছেন প্রতিবেশীরা।

সম্পত্তি–বিতর্কের সূত্র ধরেই গত বছরের ২৭ আগস্টের পুরোনো একটি রাজনৈতিক মামলায় ডিবি পুলিশ ভুক্তভোগী মেরাজুল ইসলাম বাবুকে ‘অজ্ঞাতনামা আসামি’ বানিয়ে গ্রেপ্তার করে, এমন অভিযোগ করেছেন বাবুর স্ত্রী সাথী। তাঁর কথায়, “জাতীয় তরুণ সংঘের বহু আগের একটি ছবি আর লেদার প্রভাব-এই দুটো দিয়েই আমার স্বামীকে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে।”

এদিকে লেদার প্রভাব খাটানোর বিস্তর অভিযোগের তালিকায় আছে আওয়ামী লীগের সাবেক রাজশাহী মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলীর ব্যবহৃত জিপ নামমাত্র দামে কেনা, প্রয়াত জামায়াত নেতার ছেলের সঙ্গে ব্যবসায়িক মেলবন্ধন, এমনকি রমজান আলীর বড় ছেলে সোহেলের সঙ্গেও সম্পদ–হিসাব দেখভাল করা। দলের ভেতরেই এখন প্রশ্ন, অস্পষ্ট ‘অরফ–ডোনেশন’ ফান্ডের টাকা কোথায় গেল? আন্দোলন–বিরোধী সেই গোপন তহবিল থেকে কয়েক কোটি টাকা নাকি লেদার হাতেই গায়েব, দাবি করছেন ক্ষুব্ধ ও পলাতক নেতাকর্মীরা।

ভুক্তভোগীরা বণ্টনবিহীন খারিজ বাতিলে সহকারী কমিশনার (ভূমি)–এর দপ্তরে আবেদন করেছেন এবং রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে অনিয়ম জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। আদালতের স্থিতি–নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে থাকলে সংশ্লিষ্ট থানা কি আইনি ব্যবস্থা নেবে—এই প্রশ্নও উঠছে জনমনে।

এতসব অভিযোগের মুখেও লেদা দিন দিন যেন আরও আড়াল অভয়ারণ্য তৈরি করছেন। তাঁর বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, দুর্নীতি দমন কমিশন অবিলম্বে সম্পদের উৎস, বৈধতা ও আদালত–অমান্যের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে।

আমির হোসেন শুভ ওরফে লেদার বিরুদ্ধে আরও অপ্রকাশিত তথ্য থাকছে আগামী পর্বে।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...