তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

জাতীয় পার্টিতে অস্থিরতা: জি এম কাদেরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান তিন শীর্ষ নেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ৮:৩৫ অপরাহ্ণ
জাতীয় পার্টিতে অস্থিরতা: জি এম কাদেরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান তিন শীর্ষ নেতার

জাতীয় পার্টির (জাপা) ভেতরে দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত হয়েছে সিনিয়র নেতাদের পদচ্যুতির সিদ্ধান্তকে ঘিরে। জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নেওয়া অব্যাহতির সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দলের তিন শীর্ষ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং মো. মুজিবুল হক (চুন্নু)। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের পদে বহাল আছেন এবং দলের কাউন্সিলে অংশ নেবেন।

জি এম কাদের সোমবার (৭ জুলাই) আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার এবং মুজিবুল হকসহ মোট ১১ জন নেতাকে দলীয় সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেন। সেইসঙ্গে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলের নতুন মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করেন। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে তিন নেতা অভিযোগ করেন, এই অব্যাহতি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে নেওয়া হয়েছে এবং এটি জাপার গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী।

সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জি এম কাদের যে সভা ডেকে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন, সেই সভা তিনি ডাকতে পারেন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এমন সভা ডাকতে পারেন শুধু মহাসচিব। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্ত অবৈধ। তিনি বলেন, তাঁরা সবসময় দলের ঐক্যের কথা বলেছেন, কোনো বিরোধিতা করেননি।

তিনি আরও বলেন, জাপার গঠনতন্ত্রে যে ধারা ধরে চেয়ারম্যান এককভাবে কাউকে পদচ্যুত বা বহিষ্কার করতে পারেন, সেটি গণতান্ত্রিক দলের জন্য স্বৈরাচারী ধারা। তিনি দাবি করেন, এই ধারা বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে অভিযোগ করেন, এইচ এম এরশাদ অসুস্থ থাকার সময় জোর করে দলের কো-চেয়ারম্যানের পদ দখল করেছিলেন জি এম কাদের।

মুজিবুল হক বলেন, জি এম কাদের একতরফাভাবে দলের ২৮ জনকে পদোন্নতি দিয়েছেন অথচ তৎকালীন মহাসচিব হিসেবে তিনি কিছুই জানতেন না। তিনি বলেন, তিনি যখন সংসদ সদস্য ছিলেন, তখন জি এম কাদের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার ছিলেন। কেবল এরশাদের ভাই হওয়ার কারণেই তাঁকে চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মুজিবুল হক। তিনি জানান, তাঁরা জাতীয় পার্টি ছাড়বেন না, ভাঙতেও দেবেন না। তাঁরা কাউন্সিলে অংশ নেবেন এবং সেখানে তাঁদের কথা গ্রহণ না করলে পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করবেন।

রুহুল আমিন হাওলাদার অভিযোগ করেন, তিনি ১৭ বছর জাপার মহাসচিব ছিলেন। কিন্তু একটি ‘শক্তিশালী গোষ্ঠীর’ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তাঁদের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জি এম কাদেরের কর্মকাণ্ড জাতীয় পার্টির ক্ষতি করছে এবং এ ধরনের আচরণ কোনো সুস্থ রাজনীতিবিদের কাজ হতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে তিন শীর্ষ নেতার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মোস্তফা আল মাহমুদ, নাজমা আকতার, জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান খান, জহিরুল ইসলাম জহির, সোলায়মান আলম শেঠসহ আরও অনেক নেতা।

অন্যদিকে দলের অন্দরের সূত্র জানিয়েছে, বুধবার (৯ জুলাই) জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন। ফলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গভীর কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...