তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

ঢাকায় অপরাধ বাড়লেও নিয়ন্ত্রণে দক্ষ জনবল সংকটে ভুগছে ডিবি

সকালের দেশ এক্সক্লুসিভ :
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ
ঢাকায় অপরাধ বাড়লেও নিয়ন্ত্রণে দক্ষ জনবল সংকটে ভুগছে ডিবি

রাজধানীতে অপরাধ বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণে দক্ষ জনবলের তীব্র সঙ্কটে ভুগছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ডিবি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ডিবি অনেকটা টেনেটুনে চলছে। রাজধানীতে ডিবির ১০টি বিভাগের ৬টিই জোড়াতালি দিয়ে চলছে। দু’মাস ধরে ডিএমপির ডিবি প্রধানের পদটি ফাঁকা। বর্তমানে অতিরিক্ত রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন একজন যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার। তাছাড়া ফাঁকা পড়ে আছে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও সহকারী পুলিশ কমিশনারের (এসি) অনেক পদ। তাছাড়া বর্তমানে দায়িত্বে থাকাদের একটি বড় অংশই দক্ষ নন তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা কার্যক্রমে। ফলে আসামি শনাক্ত ও অপরাধীদের অপতৎপরতা ঠেকাতে পুলিশের এই শাখাটিকে বেগ পেতে হচ্ছে। পুলিশ বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মাঝে মধ্যেই রাজধানীতে সংঘটিত হওয়া বড় বড় অপরাধের আগাম তথ্য ডিবি পাচ্ছে না। ফলে প্রকাশ্যে খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি ও মাদক ব্যবসায়ীদের তৎপরতা ব্যাপক আকারে বেড়ে যাওয়ায় নগরবাসীরা আতঙ্কে আছে। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর ডিবি অপরাধী গ্রেফতারে সফলতা পেলেও প্রিভেন্টিভ পুলিশিংয়ে যেতে পারছে না। অর্থাৎ অপরাধ সংঘটনের আগে তা প্রতিরোধ করতে ডিবির নেয়া কার্যক্রম পর্যাপ্ত নয়। মূলত জনবল সংকট এবং রাজনৈকি পটপরিবর্তনের পর ডিবিতে দায়িত্ব পাওয়া অধিকাংশ কর্মকর্তাই নবিশ। তাদের গোয়েন্দা শাখায় কাজের অতীত অভিজ্ঞতা নেই। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে ১০টি বিভাগ রয়েছে। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয় হলেও প্রতিটি বিভাগের সদস্যরা মাঠপর্যায়ে নিজ নিজ এলাকার অপরাধমূলক কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে প্রিভেন্টিভ পুলিশিং ও অপরাধী গ্রেফতার করা ডিবির প্রধান কাজ। ডিবির প্রতিটি বিভাগে আলাদা টিম রয়েছে। ইন্সপেক্টর, এসআই ও কনস্টেবলদের সমন্বয়ে একেকটি টিম গঠিত হয়। আর এসব টিমের ইনচার্জ থাকে এডিসি ও এসি পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

সূত্র জানায়, রাজধানীতে মিরপুর বিভাগ অপরাধপ্রবণ এলাকার মধ্যে অন্যতম। কিন্তু ডিবির মিরপুর বিভাগে সহকারী কমিশনারের (এসি) দুটি পদই শূন্য। অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের (এডিসি) তিনটি পদ থাকলেও আছেন দুজন কর্মকর্তা। এভাবেই মাসের পর মাস চলছে। তাছাড়া তেজগাঁও বিভাগ হচ্ছে ডিএমপির সবচেয়ে অপরাধপ্রবণ একটি এলাকা। এ বিভাগের অধীনে রয়েছে মোহাম্মদপুর, হাতিরঝিল, আদাবর, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা। কিন্তু ডিবির এ বিভাগের কোনো নিয়মিত ডিসি নেই। এছাড়া এডিসির তিনটি পদ থাকলেও মাত্র একজন কর্মকর্তা আছেন। তাছাড়া ডিবি রমনা বিভাগেও নিয়মিত ডিসি নেই এবং ফাঁকা এডিসির তিনটি পদই। তাছাড়া ডিবিতে কোনো নারী ক্যাডার কর্মকর্তা নেই। ফলে অনেক নারী ভিকটিম, বিশেষ করে সাইবার ক্রাইমের শিকার নারী সুরাহা পেতে ডিবিতে এসে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে না। গুরুত্বপূর্ণ কোনো নারী আসামি গ্রেফতার করলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে নারী কর্মকর্তা আন করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে ডিবি থেকে নগরবাসী পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছে না।

সূত্র আরো জানায়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সঙ্গে ডিবির কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ থাকে। কিন্তু সেখানে ধারণকৃত কলরেকর্ড শোনার মতো জনবলও নেই। তাছাড়া এনটিএমসির তথ্য পেতে ডিবিকে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) মুখাপেক্ষী হতে হচ্ছে। ডিবিতে এই মুহূর্তে এনটিএমসির সঙ্গে কাজ করার মতো দক্ষ জনবলও নেই। ডিবিতে থাকা কিছু কর্মকর্তা আগে থেকে নেটওয়ার্ক অ্যানালাইসিসের কাজে অভিজ্ঞ হলেও বেশির ভাগই একেবারেই অনভিজ্ঞ। গত ১০ মাসে একজন কর্মকর্তাও প্রযুক্তি সম্পর্কিত দেশীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো প্রশিক্ষণ পাননি। ফলে এলআইসি (ল-ফুল ইন্টারসেপশন বা ফোনে আড়িপাতা) সম্পর্কিত কার্যক্রমে অভ্যন্ত আছে বা ভালো কাজ জানে এমন কর্মকর্তা যুক্ত না হলে ডিবির কাজের গতি দ্রুত হারাবে। একই সঙ্গে ডিবি কর্মকর্তাদের কাজের দক্ষতা বাড়াতে পর্যাপ্ত ইন-হাউজ ও অ্যাডভান্স প্রশিক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত ফান্ড ও হাই টেকনোলজি রিলেটেড ইকুইপমেন্ট জরুরি।

এদিকে এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, ডিবির যে পদগুলো খালি আছে অচিরেই সেগুলো পূরণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অন্যদিকে এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ জানান, সারা দেশেই কমে গেছে এএসপির সংখ্যা। পিএসসির নিয়োগও আটকে গেছে।  ফলে সারা দেশেই সংকট দেখা দিয়েছে। পুলিশে নারীর সংখ্যাও কম। আনুপাতিক হারে নেই। এরপরও নারী অফিসার দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতোদিন ডিবি মানেই একটা আতঙ্ক ছিল। সেখান থেকে বের হয়ে ডিবি যে জনগণের আস্থার জায়গায় আসে সেজন্য পুরাতন জনবল, যাদের দেখলেই মানুষ অবিশ্বাস করতো তাদের বের করে দেয়া হয়েছে। নতুন কিছু লোক আনা হয়েছে। তারা অনেক ক্ষেত্রে অবহেলিত ছিল এবং পুলিশের কাজকর্ম ও প্রশিক্ষণ থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। তাদের পর্যাপ্ত দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...