তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

“সন্ত্রাসীর কোনো দল নেই”—দিরাইয়ে নিহতের পরিবারকে সহায়তা ও বিচার চাইলেন শিশির মনির

দিরাই (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫, ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ
“সন্ত্রাসীর কোনো দল নেই”—দিরাইয়ে নিহতের পরিবারকে সহায়তা ও বিচার চাইলেন শিশির মনির

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সেনাবাহিনী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত আবু সাঈদ (৩৩) ও আহত আলী আকবরের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামে গিয়ে তিনি নিহত আবু সাঈদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং তাদের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। একইসঙ্গে আহত আলী আকবরের পরিবারের সদস্যদেরও সহায়তা প্রদান করেন।
সাক্ষাতের সময় শিশির মনির বলেন, “গত ২২ জুন যৌথ বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির সময় আবু সাঈদ নামের একজন নিরীহ ইলেকট্রিক মিস্ত্রি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান, একজন আহত হন। নিহত আবু সাঈদ কোনো পক্ষের লোক নন। পরিবার চালাতে গিয়ে ইলেকট্রিশিয়ান কাজ করতেন। এমন একজন নিরীহ মানুষকে এভাবে প্রাণ দিতে হবে—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের আধুনিক যুগে যখন দুই পক্ষ গ্রামে গ্রামে দাঁড়িয়ে গোলাগুলি করে, তখন লজ্জা লাগে। সন্ত্রাস যদি এভাবে ছড়িয়ে পড়ে, তবে দেশে নিরাপদে বসবাস করা কঠিন হয়ে যাবে। যে-ই সন্ত্রাস করুক না কেন—সে বিএনপি, জামায়াত বা অন্য যেকোনো দলের হোক—সন্ত্রাসীর পরিচয় একটাই, সে সন্ত্রাসী।”
আইনজীবী শিশির মনির জানান, ইতোমধ্যে তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, “জগন্নাথপুর থানায় একটি অজ্ঞাতনামা মামলা হয়েছে শুনেছি। কেন অজ্ঞাতনামা হবে? প্রকৃত দোষীদের নাম এফআইআরে থাকা উচিত। দোষী যেই হোক, তার বিচার হওয়া দরকার। আইন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে—আমার পক্ষে না গেলেও।”
তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, নিহত আবু সাঈদের পরিবার যেন ন্যায়বিচার ও সহযোগিতা পায়—সে বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এ সময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার গাদিয়ালা গ্রামে আশ্রয় নেয়। সেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে দিরাই উপজেলার তারাপাশা গ্রামের আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। তিনি সেখানে কাজ করতে গিয়েছিলেন বলে গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন।একই ঘটনায় আহত হন আলী আকবর নামের আরেক শ্রমিক। সেনাবাহিনী প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কুলঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা একরার হোসেন সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিতে আবু সাঈদ মারা গেছে।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...