তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

“তড়িঘড়ি নয়, অংশগ্রহণমূলক আলোচনায় টেলিকম নীতি চাই” — মির্জা ফখরুল

বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:৪০ অপরাহ্ণ
“তড়িঘড়ি নয়, অংশগ্রহণমূলক আলোচনায় টেলিকম নীতি চাই” — মির্জা ফখরুল

টেলিকম খাতের নতুন নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা একতরফাভাবে প্রণয়ন সমীচীন নয় বলে মনে করে দলটি। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রণীত ‘ড্রাফট টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি ২০২৫’ নিয়ে বিএনপির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি বলেন, নীতিমালায় লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজ করা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উৎসাহিত করা এবং গ্রামীণ জনগণের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর যে লক্ষ্য, তা অবশ্যই ইতিবাচক। তবে খসড়া নীতিমালার বিভিন্ন ধারা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এতে এমন কিছু গুরুতর অসঙ্গতি এবং অস্পষ্টতা রয়েছে যা টেলিকম খাতে সমতাভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়নের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বিএনপির আশঙ্কা, প্রস্তাবিত নীতিমালার কয়েকটি ধারা বড় মোবাইল অপারেটরদের (এমএনও) পক্ষে অতিরিক্ত সুবিধা সৃষ্টি করতে পারে, যা ছোট ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান (এসএমই) এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষতির মুখে ফেলবে। মির্জা ফখরুল বলেন, একাধিক সেবা খাতে মালিকানা রাখার নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলে বড় মোবাইল কোম্পানিগুলো একাধিক খাতে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করতে পারবে। এতে প্রতিযোগিতা কমবে, ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার থেকে পিছিয়ে পড়তে বাধ্য হবে।

তিনি জানান, নিয়ন্ত্রণ শিথিলের (ডি-রেগুলেশন) পর এসএমই, বিশেষ করে স্থানীয় আইএসপি বা ছোট টেলিকম অপারেটরদের সম্পদ ও দায়-দায়িত্ব নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় তারা বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়তে পারে। এ ছাড়া, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মালিকানা সীমার প্রশ্নে নীতিমালায় অস্পষ্টতা রয়েছে, যা বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে পারে এবং পুরো খাতের স্থিতিশীলতাও বিঘ্নিত করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নীতিমালার বেশ কিছু ক্ষেত্রে উল্লম্ব ও সমান্তরাল মালিকানা বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই, যার সুযোগ নিয়ে বড় কোম্পানিগুলো আরও বেশি বাজার দখল করতে পারে। মোবাইল অপারেটরদের ফাইবার-ভিত্তিক ব্যবসা সংযোগ সেবা কোথায় সীমাবদ্ধ, সেটিও স্পষ্ট নয়। এর ফলে বিভ্রান্তি, বিবাদ এবং অসাম্য সৃষ্টি হতে পারে।

স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড বা নতুন ধরনের ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটি বিনিয়োগকারীদের দ্বিধাগ্রস্ত করতে পারে। তিনি আরও বলেন, একক লাইসেন্স ব্যবস্থা এসএমইদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। কারণ, আইএসপি লাইসেন্স একীভূত হলে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো সুবিধা পাবে। এএনএসপি লাইসেন্সে স্পেকট্রামের ওপর নির্ভরতা বড় কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে রাখবে।

এছাড়া, ‘ফিক্সড টেলিকম’ লাইসেন্স চালু রাখলেও দেশের সর্বত্র সেবা দিতে হবে এবং উচ্চমান বজায় রাখতে হবে, যা ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আর্থিকভাবে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বড় কোম্পানির অবকাঠামোগত আধিপত্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। তাঁর মতে, বড় মোবাইল কোম্পানিগুলোকে এন্টারপ্রাইজ ব্রডব্যান্ড বাজারে প্রবেশের সুযোগ দিলে ছোট কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না। এর ফলে একচেটিয়া পরিবেশ তৈরি হবে, যা দেশের সার্বিক অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

বিএনপির মতে, খসড়া নীতিমালায় কিছু ধারা বড় কোম্পানির পক্ষে সুবিধাজনক রাখা হয়েছে, যা প্রতিযোগিতা নয়, বরং বাজারে আধিপত্য বাড়াবে। তাছাড়া, নীতিমালায় লাইসেন্স ফি, শর্তাবলী ও কার্যকারিতা সম্পর্কিত বিশদ কিছু প্রকাশ করা হয়নি, যা স্বচ্ছতার অভাবের ইঙ্গিত দেয়।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা চূড়ান্ত করার আগে অবশ্যই এসএমই, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, গ্রাহক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। সেইসঙ্গে প্রস্তাবিত নীতিমালার পূর্ণাঙ্গ আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করা জরুরি। বিশেষ করে স্থানীয় উদ্যোক্তা এবং এসএমইদের সম্ভাব্য ক্ষতি, কর্মসংস্থান হ্রাস এবং অর্থনীতির ওপর সম্ভাব্য প্রভাব হিসাব করে তবেই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তাড়াহুড়ো করে কোনো নীতি প্রণয়ন করা উচিত নয়। বিএনপি বিশ্বাস করে, এমন নীতিই গ্রহণযোগ্য, যা সবার উপকারে আসে, সমতাভিত্তিক ডিজিটাল উন্নয়ন নিশ্চিত করে এবং দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভূমিকা রাখে।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...