তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

সিলেটে এই প্রথম বাউল হেলাল উদ্দিন সরকার লোক উৎসব পালিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৮:৩৬ অপরাহ্ণ
সিলেটে এই প্রথম বাউল হেলাল উদ্দিন সরকার লোক উৎসব পালিত

সিলেটে উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিয়ানীবাজারের কৃতিসন্তান লোক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাউল দর্শনের প্রাণ পুরুষ বাউল হেলাল উদ্দিন সরকার ‘ লোক উৎসব  ২০২৫’।

শনিবার (২১ জুন) দুপুর ২টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবটি, যা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

বাউল হেলাল উদ্দিন সরকার লোক উৎসবের আহ্বায়ক এস এম মানিকের সভাপতিত্বে এবং জান্নাতুল নাজনীন আশা ও এম এ ওমর এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার।

বাউল হেলাল উদ্দিন সরকার ‘লোক উৎসব ২০২৫’- এর উদ্বোধন করেন প্রথম আলোর সিলেট ব্যুরো প্রধান ও বাংলা লোক গানের গবেষক সুমন কুমার দাস।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাছন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. জাহিরুল ইসলাম অচিনপুরী।

প্রধান বক্তা ড. জাহিরুল ইসলাম অচিনপুরী বলেন, আমরা যারা নিজেদেরকে বাউল শিল্পী বলে দাবি করি বা বর্তমানে বাউল অঙ্গনে বিভিন্নভাবে কাজ করি, আমরা যদি আত্মচিন্তায় মগ্ন হই তাহলে বর্তমানে বাউল সমাজের যে ত্রুটি বিচ্যুতি দেখা দিচ্ছে আমরা অনেকটা জনসাধারণের কাছে অসম্মানের দিকে চলে যাচ্ছি। এখন আমাদের বেশি বেশি করে লোক উৎসব করতে হবে। সাধারণের কাছে বাউল সংস্কৃতি তুলে ধরতে হবে।

সুমন কুমার দাস বলেন, বাউলদের শুদ্ধু মানুষে পরিনত হতে হবে। একজন বাউলের সর্বক্ষেত্রে শুদ্ধতার প্রয়োজন। বাউলের যে মতপার্থক্য রয়েছে সেগুলোকে ভুলে এর আদর্শকে ধারণ করবো। তাহলেও প্রকৃত বাউল হওয়া যাবে।

বাউল হেলাল উদ্দিন সরকার লোক উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি এস এম মানিক বলেন লোক সংগীত আমাদের শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত। বাউল হেলাল উদ্দিন সরকার ছিলেন সেই শিকড়ের একজন অগ্রসেনানী। তার স্মরণে এমন আয়োজন আগামী প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে।

তিনি  আরোও বলেন, বাউল শিল্পী হেলাল উদ্দিন সরকার  স্বশিক্ষিত  হলেও ছিলেন এক অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী। তার অন্তরের অনুভব, মানবতা ও প্রেমের বোধ তাকে প্রবেশ করিয়ে দেয় আধ্যাত্মিক জগতে। সাধন-ভজনের মাধ্যমে তিনি খুঁজে বেড়াতেন আত্মার মুক্তি ও পরম সত্যকে। সেই ভাবজগত থেকেই জন্ম নেয় তার অসংখ্য গান— যা আজও মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তার গানগুলো শুধু সুরের বাহন নয়, ছিল আত্মার আহ্বান, ছিল প্রেম, প্রকৃতি, মানবতা ও আত্মদর্শনের এক অনন্য প্রকাশ। সাধক এই শিল্পী লোকজ সংস্কৃতির অঙ্গনে হয়ে উঠেছেন এক অনন্য অনুরাগের নাম।

এই বাউল সাধক একসময় বেহালার প্রেমে পড়ে যান এমনভাবে, যেন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই সেই সুরের মধ্যে ডুবে থাকতেন। তাঁর চারপাশের জগৎ যেন হারিয়ে গিয়েছিল ওই সুরের মাধুর্যে। একদিন মা উদ্বিগ্ন হয়ে বলেছিলেন,

“আর বাদ দে বাবা, ঘুমাতে তো হবে!” কিন্তু তিনি মায়ের কথাও শুনতে পাননি—এটাই তীব্র ছিল তাঁর সেই ভেতরের টান।

সেই মুহূর্ত থেকেই তাঁর ভেতর জন্ম নেয় এক অনন্য সাধনার বীজ। সুর আর আত্মিক অনুভবের মিলনে তিনি ধীরে ধীরে প্রবেশ করেন এক গভীর আধ্যাত্মিক জগতে। বেহালার তারে তারে যেন তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন ঈশ্বরের ডাক, হৃদয়ের নিবিড় পথ। সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর মরমী যাত্রা—সাধনা, সঙ্গীত আর আত্মদর্শনের এক দীর্ঘ পথচলা।

অনুষ্ঠানে বাউল হেলাল উদ্দিন সরকার এর শিষ্য সহ সিলেটের অনেক গুণী বাউল শিল্পীগণ তাঁদের সংগীত পরিবেশনা করেন।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...