খুঁজুন
শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

না ফেরার দেশে রাশিয়ার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু স্পাস্কি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
না ফেরার দেশে রাশিয়ার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু স্পাস্কি

মারা গেছেন রাশিয়ার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু বরিস স্পাস্কি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

বিখ্যাত এক ম্যাচের জন্য স্পাস্কিকে আলাদা করে মনে রেখেছে দাবা বিশ্ব। ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ববি ফিশারের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন স্পাস্কি। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে ‘ঠান্ডা লড়াই’ চলছিল। ফলে তাদের লড়াই সাড়া ফেলে দিয়েছিল গোটা বিশ্বে। শেষ পর্যন্ত জিতেছিলেন ফিশার।

১৯৩৭ সালে জন্ম স্পাস্কির। ১৯৬৯ সালে দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন। সেই সময় ক্রমতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তিনি।

১৯৭১ সালে ক্যান্ডিডেটস জিতেছিলেন আমেরিকার ফিশার। তিনি সেই সময় বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু। তাদের দু’জনের মধ্যে ১৯৭২ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই হয়েছিল। যে ম্যাচ ফিশারের জেতেন ১২.৫-৮.৫ ব্যবধানে।

দুই দেশের রাজনৈতিক লড়াই উত্তেজনা তৈরি করে দিয়েছিল ফিশার এবং স্পাস্কির ম্যাচ নিয়ে। ২০০৮ সালে মারা গিয়েছিলেন ফিশার। এবার প্রয়াত স্পাস্কিও। এই ম্যাচকে কেন্দ্র করেই ওয়াল্টার টেভিস ‘কুইন্স গ্যাম্বিট’ উপন্যাসটি লিখেছিলেন। পরে তা নিয়ে সিরিজও তৈরি হয়।

আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থার পক্ষ থেকে স্পাস্কির মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দশম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বরিস স্পাস্কি প্রয়াত। তার সময়ের অন্যতম সেরা প্রতিভা ছিলেন। ১৮ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন তিনি। ১৯ বছর বয়সে ক্যান্ডিডেটস খেলেছিলেন। সে বার কেরেস, গেলার এবং টালের মতো দাবাড়ুকে হারালেও প্রতিযোগিতা জিততে পারেননি। পরের মৌসুমে ফিরে এসে তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। সোভিয়েতের হয়ে সাত বার এবং ফ্রান্সের হয়ে তিন বার অলিম্পিয়াড খেলেছিলেন।

নির্বাচন স্থগিত, ফ্যাসিবাদমুক্ত দিরাই প্রেসক্লাব গঠনের দাবি সাংবাদিকদের

দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ৮:১৮ অপরাহ্ণ
নির্বাচন স্থগিত, ফ্যাসিবাদমুক্ত দিরাই প্রেসক্লাব গঠনের দাবি সাংবাদিকদের

দিরাই প্রেসক্লাব নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের মুখোমুখি অবস্থান ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই শান্তিপূর্ণ সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

প্রার্থীদের প্রচারণা ও অবস্থান গ্রহণ নিয়ে সম্প্রতি প্রেসক্লাবের সদস্যদের মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এতে নির্বাচনকে ঘিরে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি হয়, যা ক্লাবের সুস্থ পরিবেশ ও ঐক্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন দিরাই প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাইয়ূম বিষয়টি নিয়ে মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেও কোনো সমাধান হয়নি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে সংঘাত এড়াতে বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতারা নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন স্থগিত করার আহ্বান জানান। পরে প্রধান নির্বাচন কমিশন লিখিত ভাবে নির্বাচন স্থগিত করেন। লিখিত নোটিশে বলা হয়
“একটি সুষ্ঠু-সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমরা চাই একটি ঐক্যবদ্ধ প্রেসক্লাব। আমরা চাই সকলের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতির সম্পর্ক বজায় থাকুক। সবকিছু বিবেচনায় আপাতত দিরাই প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিত করা হলো। পরবর্তীতে সুবিধাজনক যে কোনো সময়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
সভাপতি পদপ্রার্থী সামছুল ইসলাম সরদার বলেন, “আমরা একটি ফ্যাসিবাদ মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রেসক্লাব গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে আমরা নিরাশ হয়েছি।”

তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় এবং দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কমিশন তাদের মনোনয়ন বাতিল না করায় বিরোধ সৃষ্টি হয়।

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমরান হোসাইন বলেন, “আমরা চাই একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন প্রেসক্লাব। কিন্তু, কমিশনের পক্ষপাত আমাদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে।”তিনি আরও দাবি করেন, জিয়াউর রহমান লিটন নামের এক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম না কিনেও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী হয়েছেন, যা নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
অবশেষে, সামছুল ইসলাম সরদার, ইমরান হোসাইন, সামছুল আলম, দিপংকর বনিক, উবাইদুল হক, নির্বাচন বয়কট করেন এবং কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেন।

এই ঘটনাকে ঘিরে দিরাইয়ে রাজনৈতিক ও সাংবাদিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ এবং সচেতন মহল আশা করছেন, সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে দিরাই প্রেসক্লাব শিগগিরই গণতান্ত্রিক ও নিরপেক্ষ নেতৃত্ব পাবে।

স্থানীয়, প্রবীণ সাংবাদিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রার্থীদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বসেন। তাদের আহ্বানে শান্তিপূর্ণ আলোচনা শুরু হয়েছে এবং একটি সমঝোতার পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

দিরাই প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাইয়ুম বলেন,“প্রেসক্লাব হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতীক, এখানে বিভাজন বা দ্বন্দ্ব কাম্য নয়। আমরা চাই নির্বাচন হোক অংশগ্রহণমূলক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে।”

মধ্যস্থতাকারীরা উভয় পক্ষকে নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনাকর বক্তব্য ও কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং ক্লাবের ভাবমূর্তি রক্ষায় প্রধান নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। স্থগিত নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি গ্রহণযোগ্য ভোট গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।

পুঠিয়ায় বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মলন

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
পুঠিয়ায় বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মলন

পুঠিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা মৎসজীবী দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং উপজেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মাকে

দল থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার সমর্থিত নেতা-কর্মী এবং সাধারণ জনগণ। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার নন্দনপুর বাজারে ঘন্টা ব্যাপি এ মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, আ.লীগের দোসর নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে আ.লীগের কার্যালয় বানিয়ে ছিলেন।

শিক্ষার পরিবর্তে সেখানে প্রতিদিন চলতো আ.লীগের মিছিল মিটিং আর বিএনপি নিধনের পরিকল্পনা। তবে ৫ আগষ্ট এর পরে স্থানীয় লোকজন তাকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়নি এরই জের ধরে বিএনপির ত্যাগি নেতা জুম্মাকে বহিষ্কার করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ অবৈধ। অবিলম্বে অবৈধ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা। তাদের দাবি না মানা হলে আরো কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

পরে এ বিষয়ে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা আনারুল ইসলাম জুম্মা সংবাদ সম্মেলন করে তার বহিস্কার অবৈধ ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে আমাকে বহিষ্কার করা হয়াছে যা খুবই দু:খ জনক বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি বলেন, আ.লীগের দোসরদের পূর্নবাসন করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে যার কোন ভিত্তি নেই। এ জন্য আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই সেই সাথে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, জিউপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক জলিল মোল্লা, শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ইনতাজ আলী, পুঠিয়া পৌর বিএনপি নেতা আজাদ মন্ডল, যুবদল নেতা রানা মন্ডল, মিঠু প্রমুখ।

উল্লেখ, গত ১১জুন দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে বিএনপির এই নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করে রাজশাহী জেলা বিএনপি।

সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দিনব্যাপী বাউল হেলাল উদ্দিন লোক উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২১জুন

বিষেশ প্রতিনিধি, সিলেট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ৫:২৫ অপরাহ্ণ
সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দিনব্যাপী বাউল হেলাল উদ্দিন লোক উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২১জুন

২১ জুন (শনিবার) বাউল হেলাল উদ্দিন লোক উৎসব উদযাপন  কমিটির উদ্যোগে দিনব্যাপী হেলাল উদ্দিন লোক উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের বার বার নির্বাচিত কাউন্সিল রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী।

সিলেটের বিয়ানীবাজার একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ এলাকা, যা অনেক গুণীজন ও পণ্ডিত ব্যক্তিত্বের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত।  যেখানে অনেক কবি, লেখক, ও শিক্ষাবিদ জন্মগ্রহণ করেছেন বা তাঁদের কর্মস্থল ছিল।

যেখানে বাউলসংস্কৃতি এবং সুফিবাদী ভাবধারার চর্চা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান। যদিও এই অঞ্চল বাংলাদেশের অন্যান্য অংশের মত বিশাল বাউল জনসমাজ নিয়ে বিখ্যাত নয়, তবুও এখানে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বাউল সাধকের অস্তিত্ব ছিল, যাঁরা লোকসংগীত, মরমী ভাবধারা ও আধ্যাত্মিক চর্চার মাধ্যমে জনগণের মাঝে প্রভাব বিস্তার করেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই  ইউনিয়নের বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার, বাউল শিল্পী হেলাল উদ্দিন।।

লোকসাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাউল দর্শনের প্রাণপুরুষ, বিয়ানীবাজার উপজেলার গর্ব, মরমী সাধক ও বিশিষ্ট বাউল শিল্পী হেলাল উদ্দিন -এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে সিলেটের  সংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, প্রবাসী বৃন্দ, সংগীত অনুরাগী ও  বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন এর  পক্ষ থেকে এক অনন্য লোক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হলো তাঁর সাধনজীবন, সংগীতচর্চা ও মানবধর্মের বাণী নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া। তিনি ছিলেন শুধু একজন শিল্পী নন, বরং একজন পথপ্রদর্শক, যাঁর গান ও দর্শন মানবতার জয়গান গেয়েছে।

বাউল হেলাল উদ্দিন লোক উৎসব আহবায়ক কমিটির প্রধান আহ্বায়ক শিল্পী এস এম মানিক, সদস্য সচিব, জাহেদ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন,উৎসবে বাউল হেলাল উদ্দিনের  জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করবেন বিশিষ্টজনেরা। পাশাপাশি হেলাল উদ্দিনের  শিষ্য, অনুরাগী ও স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর গান পরিবেশন করবেন দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা।

বাউল হেলাল উদ্দিন লোক উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক শিল্পী এস এম মানিক বলেন, বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভূক্ত গীতিকার এবং সিলেট বেতারে পল্লীগীতির বিশেষ শ্রেণীর শিল্পী মরমী কবি মোঃ হেলাল উদ্দিন ১৯৬০ সালে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের কামার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন। পিতা মসদ্দর আলী, মাতা রুপেজা বিবি। হেলাল উদ্দিন শৈশব থেকেই লোকসঙ্গীতের প্রতি দুর্বল ছিলেন বিধায় অল্প বয়সে প্রখ্যাত গায়ক মুজিবুর রহমান সরকারকে উস্তাদ হিসেবে গ্রহণ করে। মুজিবুর রহমান সরকারের পাশাপাশি আলী হোসেন সরকার এবং মনিবুর রহমান সরকারের নিকট তত্ত্ব মরমী গানের তালিম নেন। মুজিব সরকার, আলী হোসেন সরকার, এবং মনিবুর রহমান সরকারের নিকট তালিম নিয়ে হেলাল উদ্দিন হয়ে উঠেন সত্যিকারের একজন মরমী সাধক।

তিনি বিভিন্ন সময় মুজিবুর রহমান সরকার, আলী হোসেন সরকার, ক্বারী আমির উদ্দিন, আব্দুল হামিদ, সফিকুন্নুর, রুহি ঠাকুর প্রমুখ লোককবিদের সথে গান গেয়ে বিশেষ করে মালজোড়া গানের জন্য সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পরিচিতি লাভ করেছেন। এই পরিচিতি লাভের মাধ্যমে ভক্তদের আমন্ত্রণে ভারতের বিভিন্ন স্থানে গান গাইতে গিয়েছেন একাধিকবার। বিভিন্ন সময় চ্যানেল এস, ইটিভি (একুশে টিভি) তে গান গেয়ে সুনাম অর্জন করেছেন। এছাড়াও বিশটি অডিও ক্যাসেটে গান কন্ঠ মিলিয়েছেন। মরমী কবি মোঃ হেলাল উদ্দিন দীর্ঘ চার দশক সঙ্গীত সাধনা করে রচনা করেছেন পাঁচ শতাধিক তত্ত্ব গান। তবে কোন গীতি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। প্রথম মোঃ হেলাল উদ্দিনের ৩০০টি গান নিয়ে গীতি সংকলন ‘বাউল মন’ সম্পাদনা করেছেন ফারুকুর রহমান চৌধুরী।