তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু

বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫, ১:৪২ অপরাহ্ণ
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু

বাংলাদেশের ইতিহাসে আলোড়ন তোলা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

অভিযোগ গঠনের শুনানি ঘিরে এদিন সকালে গ্রেপ্তার অবস্থায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে। অন্যদিকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করলেও ট্রাইব্যুনাল সেটি খারিজ করে দেয়। ফলে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো।

মামলার নথি অনুযায়ী, এই তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলোতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে হত্যার উসকানি, নির্দেশ, সহায়তা এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার ওপর পদ্ধতিগত আক্রমণ চালানো হয়েছিল। প্রসিকিউশন তাদের বক্তব্যে জানিয়েছে, এই হামলাগুলোতে মোট ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হন।

প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন, যার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। সেই হামলায় হত্যা, হত্যার চেষ্টা, নির্যাতন এবং অন্যান্য অমানবিক আচরণ সংঘটিত হয়। শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে এই অপরাধের প্ররোচনা, সহায়তা এবং প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা আন্দোলনরত জনতাকে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে দমন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও আইজিপি মামুন।

তৃতীয় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের পর ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আক্রমণ চালায়। সেই আক্রমণে আন্দোলনকারী ছাত্র আবু সাঈদকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ড আসামিদের নির্দেশ, প্ররোচনা, সহায়তা এবং ষড়যন্ত্রের ফল বলেই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

চতুর্থ অভিযোগের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট চাঁনখারপুল এলাকায় নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ছয়জন নিহত হন। একই ধরনের আক্রমণ পঞ্চম অভিযোগে উঠে এসেছে, যেখানে ৫ আগস্ট আশুলিয়া এলাকায় নিরস্ত্র ছয়জন ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা এবং একজনকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনাগুলোকেও আসামিদের নির্দেশ, প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রসিকিউশন।

অভিযোগপত্রটি বিশাল আকারের। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রের মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা আট হাজার সাতশো সাতচল্লিশ। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার আঠারো পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও অন্যান্য দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার সাতশো চব্বিশ পৃষ্ঠা। মামলায় মোট ৮১ জন সাক্ষী রয়েছেন।

এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল এখনও পলাতক রয়েছেন। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন কারাগারে আটক আছেন।

অপরদিকে, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী হতে চেয়েছেন এবং আদালতে নিজের দায় স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, “জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে আমি জড়িত। আমি দায়ী।” তার এই স্বীকারোক্তি মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মামলার রায় বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সমাজে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...