তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

ধর্ষণ বর্তমানে যে প্রচারণা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ৫ আগষ্টের পর থেকেই এরকম ঘটনা ঘটছে -কামরুজ্জামান মুহিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১:৫৯ অপরাহ্ণ
ধর্ষণ বর্তমানে যে প্রচারণা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ৫ আগষ্টের পর থেকেই এরকম ঘটনা ঘটছে -কামরুজ্জামান মুহিত

স্মৃতিশক্তি যদি আমার সাথে প্রতারণা না করে তাহলে যতটুকু মনে পড়ে ২০১৩-১৪ সালের দিকে এইরকম ধর্ষণজনিত সংবাদে সারাদেশের সংবাদপত্র ভরপুর ছিল কয়েকমাস।প্রধান সংবাদ বা প্রথম/শেষ পাতায় শুধু ধর্ষণজনিত ঘটনার সংবাদে ভরপুর ছিল পত্রিকাগুলো।এরপর ধীরে ধীরে এই জাতীয় সংবাদগুলো পিছনে পড়া শুরু হয় এবং ভিতরের পাতায় ছোট্ট কলামে ছাপা হতে শুরু করে।একসময় দেশের মানুষ এইরকম ঘটনাগুলো যে আমাদের জাতীয় সমস্যা সেটা ভুলে যেতে শুরু করে বা ভুলে যায়।আমি তখন অনার্স কোর্সের ছাত্র ছিলাম।আমার তখন মনে হয়েছিল কোন একটা এজেন্ডা কাজ করছিল কোন এক গ্রুপের মধ্যে। তাদের পিআর এটা কাজে লাগিয়েছিল।আমি এখনও এটা বিশ্বাস করি।

২০১৩-১৪ সালের পর কি দেশে নিয়মিত ধর্ষণের ঘটনা ঘটে নাই? এখন যেরকম মহামারীর মতো ঘটছে তখনও ঘটেছে পত্রিকা গুলো খুঁজে দেখলেই পাওয়া যাবে।তবে সেটা ভিতরের পাতায় ছোট্ট এক কলামের ভিতরে।মাঝেমধ্যে এমসি কলেজের ঘটনাগুলোর মতো কয়েকটা হয়তো প্রধান সংবাদে পরিণত হয়েছিল কিন্তু দলীয় নেতা-কর্মী হিসেবে একটারও সাজা হয়েছে বলে আমার অন্তত জানা নাই। এই সময়ের মধ্যে আমার নিজের এলাকায়ও অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। কিছু সামনে এসেছে বেশিরভাগই ধাপাচাপা দেয়া হয়েছে।

এইবার সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়া এবং মোবাইল সাংবাদিকদের আধিক্যে সকল খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতি সহজে চলে এসেছে।আমি কখনই বিশ্বাস করি না এরকম ঘটনা আগে কম ছিল এখন অতি মাত্রায় বেড়ে গেছে।হয়তোবা ১০%-১৫% বেড়েছে। কিন্তু বর্তমানে যে প্রচারণা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ৫ আগষ্টের পর থেকেই এরকম ঘটনা ঘটছে।আমার প্রশ্ন এই জায়গায়!

মনে প্রশ্ন জাগে হঠাৎ করে ধর্ষণের ঘটনাগুলো এত প্রচারণা পাচ্ছে কেন?এই বিষয়ে আমার নিজস্ব কিছু পর্যবেক্ষণ আছে।১.বর্তমানে যে হারে সোস্যাল মিডিয়া কাজ করে সে ধারাবাহিকতায় এরকম নিউজ খুবই সেনসেটিভ বলে প্রচারণা বেশি হচ্ছে। সাথে কিছু ঘটনা এত নির্মম,হৃদয়বিদারক ও মনুষ্যবিবর্জিত যে প্রায় সবাই এই ঘটনাগুলোর প্রতিবাদ করা থেকে নিজেকে আটকে রাখতে পারছে না। এজন্য সবাই যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ ও প্রচার করছে যাতে সকল ধর্ষককে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা যায়।২. আওয়ামী লীগের দলীয় এজেন্ডা হিসাবে প্রচারণা।বাংলাদেশ যে গত ১৫-১৬ বছর ভালোই চলেছে এটা বুঝানোর অপচেষ্টা। অথবা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টাও হতে পারে।৩.নির্বাচন নির্বাচন করে করে বিএনপি যে সরকারের মাথা মগজ খেয়ে ফেলছে তাদেরও কাজ হতে পারে।দেশ যে ভালো চলছে না এবং যত তাড়াতাড়ি একটি নির্বাচিত সরকার আসবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তত তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যাবে এটার প্রচারণাও হতে পারে।

আমার ব্যক্তিগত মত হলো ১ অথবা ৩। ২ নাম্বার কারণ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। যদিও একদম ফেলে দেওয়ার মতো কারণ নয়। ভালোভাবে প্রচারণার মোটিভ পর্যবেক্ষণ করলে স্পষ্ট হবে প্রকৃত কারন কোনটি।আওয়ামী লীগের নেতাদের যদি একটু হলেও ঘিলু থাকে তাহলে তারা এরকম একটা আইডিয়া নিয়ে সামনে আসার কথা না।ঘিলু আছে কি না সেটা একটা বড় প্রশ্ন! ইউনুস সরকার যতদিন থাকবে আওয়ামীলীগের তত ফায়দা হবে এটা সামান্য পরিমাণে মগজ থাকা লোকও বুঝবে।অন্তবর্তী সরকারে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামীপন্থী, বিএনপিপন্থি,জামায়াতপন্থি ও বাম ঘেঁষা আমলাদের জন্য প্রতিনিয়তই সরকার তাদের কৃতকর্মের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যা আমরা প্রতিদিনই দেখি। এবং এই কাজগুলোর জন্য ধীরে ধীরে আওয়ামীলীগের প্রতি সাধারণ মানুষের একটু সহজভাব প্রকাশ পাচ্ছে। অতি ধীরে হলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য এটা কার্যকরি হবে।অন্যদিকে বিএনপি সরকারের মাধ্যমে শুধু মাত্র নির্বাচন আয়োজন করানোর জন্য নিজেদের দেওলিয়া ঘোষণা করতে রাজি এরকম আচরণ করছে।সুতরাং এটা তাদের পিআর এর মাধ্যমে হচ্ছে কি না এই প্রশ্নটা বড় আকারে মনে জাগে।

বাংলাদেশ যে হারে হুজুগে সে বিবেচনায় নিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের প্রকাশ হিসেবেও এটাকে বিবেচনা করা যায়।কিন্তু ঘটনা যাই হোক দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে চরম অবনতি ঘটেছে এবং দিনদিন আরো নীচের দিকে যাচ্ছে এমনকি গৃহযুদ্ধের উসকানি পর্যায়ে চলে যাচ্ছে কি না এটা আমাদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

সবশেষে বলতে দ্বিধা নাই প্রচার প্রচারণা যে বা যাদের মাধ্যমেই হোক ঘটনা গুলো অধিকাংশ সত্য এবং এগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।এটাও খেয়াল রাখতে হবে যাতে ব্যক্তিরোষে কোন নিরপরাধ ব্যক্তি শাস্তি বা বিড়ম্বনায় না পড়েন।আমি দৃঢ়ভাবে চাই ১ম কারণটা হোক এবং আমরা সকলে মিলে সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে এই নরপশুদের বিরুদ্ধে দাঁড়াই।

লেখক: প্রভাষক,পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ,ভাদেশ্বর মহিলা ডিগ্রী কলেজ, গোলাপগঞ্জ, সিলেট।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...