Header Logo
Author Dipankar Banik
তারিখ: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ০১:০৯ পূর্বাহ্ণ

দিরাইয়ে পূজা উদযাপন পরিষদে পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবি

News Image

দিরাই উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদ দীর্ঘ ৪–৫ বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে পরিচালিত হওয়ায় স্থানীয় সনাতনী সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ আছে, আহ্বায়ক কমিটি শুধুমাত্র দুর্গাপূজা কেন্দ্রিক কার্যক্রমে মনোযোগ দেয় এবং বছরের বাকি সময়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে তাদের কার্যক্রম দেখা যায় না। ফলে স্থানীয়রা মনে করছেন, পূজা উদযাপন পরিষদের মূল দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন হচ্ছে না।

স্থানীয় সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, উপজেলার বিভিন্ন পূজা আয়োজনের পরিকল্পনা করা, মণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রাখা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ানো—এগুলোই পূজা উদযাপন পরিষদের মূল দায়িত্ব। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আহ্বায়ক কমিটি এসব দায়িত্ব পালন করছে না। ফলে স্থানীয়রা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি তুলেছেন।

স্থানীয় পূজা উদ্যোক্তা মিল্টন কান্তি দাস বলেন, “এভাবে বছরের পর বছর আহ্বায়ক কমিটি চালানো সংগঠনের স্বার্থে ক্ষতিকর। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় না।” জগন্নাথপুর গ্রামের প্রেমানন্দ চৌধুরী বলেন, “দুর্গাপূজার বাইরে আহ্বায়ক কমিটিকে আর কোনো কার্যক্রমে পাওয়া যায় না, অথচ পরিষদ শুধু পূজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সমাজসেবামূলক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেও সক্রিয় থাকা উচিত।”

জটিচর গ্রামের শিক্ষক ব্রাউন পুরকায়স্থ জানান, “পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে পারলেই সম্প্রদায়ের সামগ্রিক স্বার্থ রক্ষা সম্ভব হবে।” অন্যদিকে আনোয়ারপুর গ্রামের নারায়ণ দাস অভিযোগ করেন, “একটি সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে নানা বাহানা দেখাচ্ছে।”

আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ধনীর রঞ্জন রায় জানিয়েছেন, “আমাদের অনেক সদস্য বিভিন্ন জায়গায় থাকায় তাদের পাওয়া যায় না। এছাড়া তিনি করোনা পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন অজুহাতে তোলে জেলা কমিটির দায় চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে বলেন, জেলা কমিটিট নির্দেশ না থাকার কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে শনিবার(২৩আগস্ট) বৈঠক করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”অন্য দিকে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. বিমান কান্তি রায় বলেন, “আহ্বায়ক কমিটির অনেক সদস্য বয়সে বৃদ্ধ। বার্ধক্যজনিত কারণে এতদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি। শীঘ্রই দিরাইয়ে বৈঠক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা হবে।”

স্থানীয়রা আশাবাদী, নতুন কমিটি তরুণদের নিয়ে গঠিত হলে পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যক্রম স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে এবং সমাজসেবামূলক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেও সম্প্রদায়ের নতুন প্রজন্মের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হবে।

Watermark