গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে মুকসুদপুর কলেজ মোড়ে পথসভা যোগ দিয়ে বললেন, “ইতিহাস-ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই গোপালগঞ্জ। গোপালগঞ্জের সব মানুষ খারাপ না। তাই প্রশাসনের ভাইদের বলবো সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে মামলা দিয়ে কোনো জুলুম তাদের সঙ্গে করবেন না।”
নুরুল হক নুর বলেন, “আমাদের বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রাণ পুরুষ শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে, সাংবাদিক ও বামপন্থি রাজনৈতিক নেতা নির্মল সেন, ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদার, মতুয়া সম্প্রদায়ের হরি চাঁদ ঠাকুর, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের রকিবুল হাসান, সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগম চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াত থেকে শুরু করে অনেক জ্ঞানী গুণী ব্যক্তি এই মধুমতীর তীর বিধৌত গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেছে। সুতরাং গোপালগঞ্জের সব মানুষ খারাপ না।”
‘আপানারা দেখেছেন আমাদের সুযোগ ছিল, আমরা যদি সুবিধাবাদী রাজনীতি করতাম শেখ হাসিনার ক্যাবিনেটে সবচেয়ে ভালো মন্ত্রী হতাম, শত সহস্র কোটি টাকার মালিক থাকতাম। আমরা সেটার সঙ্গে আপোষ করিনি। আমরা মুখে যেটা বলেছি অন্তরে সেটা ধারণ করেছি। আমরা বলেছি রাজনীতিকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে, রাজনীতিকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ করতে হবে, তাই আপনাদেরও জনগণের প্রতিনিধিদের নেতা বানাতে হবে’-উল্লেখ করেন তিনি।
নুর বলেন, “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্য পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন হলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনে নতুন বন্দোবস্ত নিয়ে আমরা আলোচনা করছি, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে, উচ্চ কক্ষ পিআর পদ্ধতিতে হবে। এভাবে আমাদের নতুন বন্দোবস্তের দিকে পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যেতে হবে।”