Header Logo
Author বার্তা বিভাগ - সকালের দেশ এডমিন
তারিখ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ণ

কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য সেবা নেয়

News Image

সারা দেশের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য সেবা নেয়। বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে স্বাস্থ্য খাতের যুগান্তকারী সংস্কার হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন। এর নামের কোনো পরিবর্তন হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার শুধু কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের।

আজ বুধবার ‘প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবায় মিডিয়ার অংশগ্রহণ’ শীর্ষক সেমিনারে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ কথা বলেন। রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট। কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পর্কে গণমাধ্যমের কর্মীদের অবহিত করার জন্য এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। তবে এতে বিশ্বব্যাংক, জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকাসহ বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারের শুরুতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন ৫৪ বছরের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে বড় সংস্কার। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হলো, এসব ক্লিনিক পরিচালনার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করা। তিনি বলেন, নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করতে জাইকাসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা সহায়তা করছে।

অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ক্লিনিকের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের পরিচালক (মাঠ প্রশাসন) আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ৪৬৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। একটি ক্লিনিকে দৈনিক গড়ে ৩৫ জন মানুষ সেবা নিতে আসে। সেই হিসাবে দৈনিক পাঁচ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে এসব ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে এখন ২২ ধরনের ওষুধ মানুষকে বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এ তালিকায় কোনো অ্যান্টিবায়োটিক নেই।

আসিফ মাহমুদ বলেন, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন পৃথকভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পর্কে কিছু সাপারিশ করেছে। এর মধ্যে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ নাম পরিবর্তন করে ‘গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র’ করার প্রস্তাব আছে।

সাংবাদিকেরা বলেন, অতীতে কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। বন্ধ রাখার ইতিহাসও আছে। কমিউনিটি ক্লিনিক এখন একটি ব্র্যান্ড। এখন এর নাম পরিবর্তন নিয়ে কথা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের নাম পরিবর্তন করতে হলে ট্রাস্ট তা করবে, অন্য কেউ নয়।

কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন সাংবাদিকেরা। কেউ বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ বাইরে চলে যায়, কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে অনেক সময় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারকে (সিএইচসিপি) পাওয়া যায় না, এখন অনেক ক্লিনিকে ওষুধ নেই, সিএইচসিপিদের অনেকে বেতন পাচ্ছেন না।

সব অভিযোগ সর্বজনীনভাবে সঠিক নয় বলে দাবি করেন ট্রাস্টের কর্মকর্তারা। ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ৯৫ শতাংশ কমিউনিটি ক্লিনিক ভালো চলছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য বছরে ১২০ কোটি টাকার ওষুধ কেনা হয়। ওষুধের সংকট খুব শিগগির দূর হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাইকার প্রতিনিধি এস এম রেজাউল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের পুষ্টিবিষয়ক কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস হাসেন, বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

Watermark