সুনামগঞ্জের প্রবীণ আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিক এডভোকেট অবনী মোহন দাস আর নেই। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরের দিকে সিলেটের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
১৯৫৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার মামুদনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন অবনী মোহন দাস। তাঁর পিতা ছিলেন সুধীর কুমার দাস এবং মাতা প্রমীলাবালা দাস। শিক্ষাজীবনে তিনি ১৯৭৪ সালে এসএসসি, ১৯৭৬ সালে এইচএসসি ও ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
(রাজনৈতিক জীবনের পথচলা)
১৯৮৪ সালে বাবার পথ অনুসরণ করে তিনি সুনামগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ অর্জন করেন। অবনী মোহন দাসের চার দশকের রাজনৈতিক জীবনে উল্লেখযোগ্য কিছু মাইলফলক হলো—১৯৮৪ সালে বাবার কাপ্তানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সদস্য হয়ে নেতৃত্বের সূচনা। ১৯৮৫ সালে ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৯১ সালে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৯৭ সালে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক। ২০০৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। ২০০৫ ও ২০০৯ সালে পরপর দুইবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত। ২০১৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। ২০২৪সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ২০২৫ সালে ৬ জানুয়ারি জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সুনামগঞ্জ সদর থানার মামলায় গ্রেফতার হন এডভোকেট অবনী মোহন দাস।
(ব্যক্তিগত জীবন ও অবদান)
এডভোকেট অবনী মোহন দাস ছিলেন সুনামগঞ্জের সামাজিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে সুনামগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।