রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে তিনটি মেজর ব্লক শনাক্ত হয়েছে। এনজিওগ্রামের মাধ্যমে এ সমস্যা ধরা পড়ার পর তার অবস্থা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে চিকিৎসকরা এনজিওপ্লাস্টির পরিবর্তে বাইপাস সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে ডা. শফিকুর রহমানের এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়। তার ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, ওই পরীক্ষার ফলাফলে হৃদযন্ত্রে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়ে। এরপর জরুরি ভিত্তিতে বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও সার্জারির নির্দিষ্ট সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এটি খুব শিগগিরই সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। সমাবেশ চলাকালে তিনি দুইবার মঞ্চে পড়ে যান এবং পরবর্তীতে ডায়াসের পাশে বসেই বক্তব্য চালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সেদিন তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর তিনি বাসায় ফেরেন।
পরবর্তী পর্যায়ে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে রেখে একাধিক পরীক্ষার অংশ হিসেবে সম্প্রতি এনজিওগ্রাম করানো হয়। ফলাফলে ব্লকের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসকরা বাইপাস সার্জারিকে সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর পন্থা হিসেবে দেখছেন।
এদিকে, জামায়াতের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর প্রস্তাব করা হলেও ডা. শফিকুর রহমান তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি তার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং দেশের মাটিতেই তিনি চিকিৎসা নিতে আগ্রহী।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং অন্যান্য দলীয় নেতারাও জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের পরামর্শে তার বাইপাস সার্জারির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সার্জারির সময় নির্ধারণের অপেক্ষায় রয়েছেন চিকিৎসকরা।
অসুস্থ অবস্থায়ও দলের দায়িত্ব পালন করে যাওয়া ডা. শফিকুর রহমান ও তার পরিবার দেশবাসীর কাছে তার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া চেয়েছেন।