প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উপলক্ষে রোববার দেওয়া এক বাণীতে বললেন, “জনগণের দোরগোড়ায় সুলভ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য খাতের টেকসই সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘হেপাটাইটিস : লেটস্ ব্রেক ইট ডাউন’, যা হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও যোগ করে বলেন, “লিভার রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, সময়মতো চিকিৎসা না নেওয়া এবং নানা কুসংস্কারের কারণে বাংলাদেশে লিভারজনিত রোগের প্রকোপ দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস-বি এবং শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ হেপাটাইটিস-সি ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার ও লিভার ফেইলিওরের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। তবে সময়মতো চিকিৎসা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করলে এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন নিশ্চিত করা যায়।”
‘সরকার দেশের হাসপাতালগুলোর মান ও সক্ষমতা উন্নত করার পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবারকল্যাণ সেবা দেওয়ার কার্যক্রম জোরদার করেছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে’-উল্লেখ করেন তিনি।
বিশ্বব্যাপী ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তবে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকারি, বেসরকারি এবং নাগরিক সমাজসহ সবার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন নোবেল জয়ী ইউনূস।
নীরব ঘাতক হেপাটাইটিস প্রতিরোধে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, গণমাধ্যম, অভিভাবক ও সচেতন নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।