ব্যক্তিগত বিরোধ ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ধামাইল উন্নয়ন পরিষদ। সংগঠনের নেতারা বলছেন, কিছু ব্যক্তি পরিষদকে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন। এতে ধামাইল সংস্কৃতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

গতকাল (শুক্রবার ১১ জুলাই) সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা বলেন, সামাজিক মাধ্যমে এই ‘নোংরামি’ দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে। সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষায় এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বক্তারা দাবি করেন, আগামীর কমিটিতে যেন এসব বিতর্কিত ব্যক্তি স্থান না পান।

সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, পূর্ববর্তী কমিটির সদস্যরা দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করেছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ডে পরিষদের কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। সংগঠন বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে দেখে নতুন নেতৃত্ব গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

পরে সর্বসম্মতিক্রমে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এতে অরুন কান্তি তালুকদার সভাপতি, শ্যামল দেব সাধারণ সম্পাদক ও অনুপম দাসকে কোষাধ্যক্ষ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন অরুন কান্তি তালুকদার ও সংগঠনের সাবেক সিও পিকলু সরকারের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন নারায়ণ দাস, বাউল সিরাজ উদ্দিন, পল্টন দাস, অরুণ কিরণ বর্মণ, হিল্লোল পুরকায়স্থ, নন্দলাল দাস, রণধীর চক্রবর্তী, লেখক সাগর দাস, বাপ্টু দেব, বাউলা তপু, মিহির তালুকদার, জীবন সূত্রধর, দিপংকর বনিক, সাগর পুরকায়স্থ, তুষ্টি তালুকদারসহ অনেকে।

সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধামাইল দলগুলোর সদস্যরাও অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন—সুরমার তীরে ধামাইল দল (তুষার), ললিতা ধামাইল দল (তুষ্টি তালুকদার), মেলোডি মাফিয়া ধামাইল দল (সাগর তালুকদার), অপরাজিতা ধামাইল দল (মিল্টন দাস), বাউলা তপু ধামাইল দল (মৌলভীবাজার), ভোরের পাখি ধামাইল দল (জামালগাছ), কিশোরী ধামাইল দল (ছয়হারা), সুরধ্বনি ধামাইল দল (লালপুর), পিয়াইন ধামাইল দল (খাগাউড়া), কালনীর কূলে ধামাইল দল (দিরাই), ও লোকদল ধামাইল সংঘ (শান্তিগঞ্জ)।

সভায় বক্তারা বলেন, ধামাইল বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ লোকগান ঐতিহ্য। এই সংস্কৃতি রক্ষায় সংগঠনের ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে পরিষদ একটি ইতিবাচক ধারায় ফিরবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাঁরা।