বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ-ইন নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে সম্প্রতি মৌলভীবাজার জেলার চারটি সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ একসঙ্গে ৮৩ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এই ঘটনায় সীমান্তবর্তী এলাকায় উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোররাতে বড়লেখা উপজেলার পাল্লাতল সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ৪৮ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করা হয়। একই সময়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কাকমারা সীমান্ত দিয়ে ২৩ জন, কুলাউড়া উপজেলার মুরইছড়া সীমান্ত দিয়ে পাঁচজন এবং কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই সীমান্ত দিয়ে আরও পাঁচজনকে পুশ-ইন করে বিএসএফ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পৃথক তিনটি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, এসব মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে এপারে এসে ঘোরাফেরা করছিলেন। বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন যশোর, বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, বরিশাল এবং কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দারা।
৫২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আটক ব্যক্তিদের বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সিন্দুরখান ইউনিয়নের কাকমারা সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন হওয়া ২৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তাদের সবার বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়।
আইনি প্রক্রিয়া ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এসব মানুষকে আত্মীয়স্বজনের জিম্মায় নিজ নিজ ঠিকানায় ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ এ পর্যন্ত ৫০১ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে।