Header Logo
Author বার্তা বিভাগ - সকালের দেশ এডমিন
তারিখ: ৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ণ

লক্ষ্মীপুরে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ দুই কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

News Image

লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের(পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল আমিন ও উপসহকারী প্রকৌশলী মোকতাদিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও গ্রাহক
হয়রানির অভিযোগে তাদের
অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন গ্রাহকরা ।ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র শিল্প মালিক ও  বিদ্যুৎ গ্রাহকদের যৌথ আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল  শহরের প্রধান প্রধান সড়ক
প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে প্রতিবাদ সভায়
মিলিত হয়। পরে তারা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত
সভাপতি আব্দুল আজিজ,
সাধারণ সম্পাদক আবুল
কালাম আজাদ, তৌহিদুল
ইসলাম ফরহাদ, আবুল কাশেমসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী
নুরুল আমিন ও উপসহকারী
প্রকৌশলী মোকতাদির দায়িত্ব
যোগদানের পর থেকেই সাধারণগ্রাহকদের সঙ্গে খরাপ ব্যবহার ও হয়রানি করে আসছে  এই কর্মকর্তারা নিয়মিতভাব ঘুষ গ্রহণ, অনিয়ম ও
দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছে বলে তাদের দাবি ।

প্রিপেইড মিটারে বিল বাকি
থাকার প্রশ্ন তুলে বক্তারা বলেন, “প্রিপেইড মিটারে ডিউ বিল কীভাবে হয়?”এ ধরনের অসঙ্গতিতে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত
ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, ২২ জুন হঠাৎ করে ২০০-র বেশি প্রিপেইড মিটার লক করে
দেওয়া হয়। গ্রাহকদের দাবি, ঘুষ না
দেওয়াতেই এসব মিটার বন্ধ
করা হয়েছে।

এসময় তাদের বিরুদ্ধে  লিখিতভাবে ১৬টি
গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ
উত্থাপন করা হয়।

প্রতিবাদ সভা থেকে ঘোষণা
দেওয়া হয়, আগামী সোমবার
(৭ জুলাই) জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র
প্রদান ও পিডিবি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগেও পিডিবির উপসহকারী প্রকৌশলী
মোকতাদিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও গ্রাহক হয়রানি
বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে
সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে
পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল আমিন বলেন, “যাদের বিল দেওয়া হয়েছে
তারা নিবন্ধনবিহীন গ্রাহক। নিবন্ধন থাকলে তো আমরা
বিল করতাম না। যাদের নিবন্ধন নেই, তাদের
ভর্তুকি বিল পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সুনির্দিষ্ট অভিযোগ
থাকলে আমাদের কাছে সরাসরি আসা উচিত, বিক্ষোভ করে তো সমাধান হবে না।”

Watermark