নিষিদ্ধ সংগঠন আ. লীগের দোসর মোঃ হারুন আর রশিদ বর্তমানে রাজশাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে এখনো কর্মরত।
এক সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী’র ফ্যাসিস্ট আ. লীগের প্রভাবশালী সাবেক এমপি এবং সাবেক মেয়র লিটনের ঘনিষ্ঠজন তিনি। বিগত ফ্যাসিস্ট আ. লীগের সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে রাজশাহীতে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে যোগদান করার পর থেকে আওয়ামী পন্থী ঠিকাদারদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে বিভিন্ন কাজের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, ফ্যাসিস্ট আ.লীগের রাজনীতির সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। পাবনা নিজ বাড়ি পাশের প্রতিবেশীরা তার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন যে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ফ্যাসিস্ট আ.লীগের রাজনীতির সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। ও নিষিদ্ধ সংগঠন আ. লীগের দোসর মোঃ হারুন আর রশিদ এর সাবেক এমপি ও মন্ত্রীদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
“ঠিকাদারদের অভিযোগ
রাজশাহীতে যোগদানের পর আ.লীগ পন্থী ঠিকাদারদের সহযোগিতা করেই চলেছেন। তিনি অফিসে সময়মতো উপস্থিত থাকেন না এবং অনেক সময় অসুস্থতার অজুহাতে বাসায় অবস্থান করেন, শুক্রবার ও শনিবার পাবনার নিজ বাসায় অবস্থান করেন এবং সোমবার বা মঙ্গলবার রাজশাহীতে এসে অফিস করেন না।
নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন আর রশিদ অবৈধ অর্থ না পেলে বিল ও চেক অনুমোদনে অযথা সময়ক্ষেপণ করেন, ফলে কাজের বিল পেতে ২৫-৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।
চূড়ান্ত বিল প্রদানের পূর্বে সাইট ভিজিট করার কথা বলে বিল আটকে রাখার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রকল্পে রাজশাহীর অগ্রগতি অত্যন্ত ধীর। অন্যান্য জেলায় কাজ শেষ হলেও রাজশাহীতে এখনো দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে মাত্র,
অফিসের পরিবর্তে বাসা থেকেই দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করেন, এতে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
ঠিকাদারদেরকে, ভয় দেখান এবং নিজের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংযোগের অপব্যবহার করেন।
ঠিকাদারদের অভিযোগ পরিপ্রেক্ষিতে সরোজমিনে গিয়ে প্রকৌশলীর অনুপস্থিতি ও না না অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে রাজশাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হারুন আর রশিদকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।