ছয় দফা দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ডাকে আজ সারাদেশব্যাপী ন্যায় সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। সকাল ১০টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বাংলাদেশ হেলথ এসিষ্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের দিরাই উপজেলার সভাপতি সনজিব চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সাংগঠনিক মো সানু মিয়ার সঞ্চালনায়
বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জিত কান্তি চৌধুরী, উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী মো. আফজাল হোসেন, রাজীব কান্তি দাস, রতন কুমার দাস, মো. সানজব আলী, দেবাশীষ দাস, প্রিয়া তালুকদার, জলি তালুকদার, পলি তালুকদার, রত্না বেগম, মো. দিলোযার হোসেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে
১. নিবাহী আদেশে নিয়োগ বিধি সংশোধন শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমমান করে ১৪তম গ্রেড প্রদান।
২. ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা সহ বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে ‘উন্নীতকরণ।
৩. পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ।
৪. পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেলেও কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের অভিজ্ঞতার আলোকে স্নাতক পাস স্কেলে আত্মীকরণ করতে হবে।
৫. বেতন স্কেলে উন্নীতকরনের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক গন যত সংখ্যক টাইম স্কেল অথবা উচ্চতর গ্রেট প্রাপ্ত বা প্রাপ্য হয়েছেন তা পরবর্তী পুনঃনির্ধারিত বেতন স্কেলের সাথে যোগ করতে হবে।
৬. পূর্বে ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা এসআইটি কোর্স সম্পূর্ণ কারী স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকদেরকে ডিপ্লোমাধারী সম্পন্ন হিসেবে গণ্য করে সরাসরি ১১ তম দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা দীর্ঘদিন ধরে মাঠপর্যায়ে টিকাদান, মাতৃসেবা, এবং শিশুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছেন। তারা আরও বলেন, তাঁদের অবদান সত্ত্বেও গ্রেড উন্নয়ন, ভাতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আজও নিশ্চিত হয়নি।
সংগঠনটি জানিয়েছে, দাবি আদায়ে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে “শাটডাউন” কর্মসূচি দেওয়া হবে এবং ইপিআই কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালেও একই দাবিতে টানা কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য সহকারীরা, যার পরিপ্রেক্ষিতে আংশিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি বলে দাবি সংগঠনের