মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বাঁশের বেড়া দিয়ে গ্রামবাসীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাদশা মিয়া নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে |এতে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় ৫০ টি পরিবারের লোকজন । সম্প্রতি এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের পূর্ব বাঙ্গালা গ্রামে ।
এ জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেতে এলাকাবাসীর পক্ষে মো. মিজানুর রহমান ইউএনও বরাবর গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের দারু মিয়ার বাড়ী হতে বাঙ্গালা সড়কের আব্দুর রশিদের বাড়ী পর্যন্ত পায়ে হাটার শত বছরের এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল -কলেজ, মাদরাসা , হাট-বাজার ও অফিস গামী শত শত লোক চলাচল করে আসছিল ।কয়েক দিন আগে পার্শ্ববতী ব্রী কালিয়াকৈর গ্রামের মৃত. বাছেরের পুত্র বাদশা মিয়া তার জমির পশ্চিম পাশের রাস্তার একটি অংশসহ সম্পূর্ণ জমিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন।
শতবর্ষী এ রাস্তাটি বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় অন্তত পক্ষে ২৫০- ৩০০ লোক চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন |কোমল মতি শিক্ষার্থীরা স্কুল-মাদরাসায় যেতে পারছে না । যে কারণে তাদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। কৃষকরা উৎপাদিত কৃষি পন্য সময়মত পরিবহন করতে না পারায় ন্যায্য মূল্য হতে হচ্ছে বঞ্চিত। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও বয়স্ক রোগীদের দিতে হয় চরম মাশুল। এছাড়া কোন মানুষ মৃত্যু বরণ করলে জানাজা ও কবর দেয়ার জন্য মরদেহ বের করাই কষ্ট সাধ্য।
সরেজমিনে রবিবার ভুক্তভোগী স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ আলী (৭৫) বলেন- পথটি বন্ধ করে দেওয়ায় মাঠ হতে ফসল আনা ও গরু ছাগল নিয়ে চলাচলে মহা মুশকিলে পড়েছি ।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন এ রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, হাট- বাজার , হাসপাতালে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা দুই-তিন’শ লোক এখন জিম্মি। রাস্তাটি মুক্ত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনাও করেন তিনি।
অভিযুক্ত বাদশা মিয়া রাস্তা বন্ধ করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার জায়গা আমি বেড়া দিছি এখান দিয়ে রাস্তা দেয়া সম্ভব না। তারা আটকে থাকলে আমার কিছু করার নেই।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো.কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও তিনি জানান ।