বান্দরবানে যথাযোগ্য মর্যাদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে তথাগত সম্যক সম্মবুদ্ধের ত্রি-স্মৃতি বিজরিত বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হচ্ছে । সারা বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক, সকল প্রাণী সুখী হোক।
বুদ্ধ পূর্ণিমায় বান্দরবানের বিহারে বিহারে পরিনির্বাণের স্মৃতি, জ্বলবে হাজার প্রদীপ,
বুদ্ধের মূল জীবনদর্শন হচ্ছে অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সহাবস্থান করা। অহিংসবাদের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন, বৈরিতা দিয়ে বৈরিতা, হিংসা দিয়ে হিংসা কখনো প্রশমিত হয় না। অহিংসা দিয়ে হিংসাকে, অবৈরিতা দিয়ে বৈরিতাকে প্রশমিত করতে হবে।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ। বান্দরবানের বিহারে বিহারে চলছে প্রার্থনা, ছোয়াইং দান, জল সিঞ্চনসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা। গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও পরিনির্বাণ এ তিনটি স্মৃতিকে স্মরণ করে দিনটি উদযাপন করছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বান্দরবান কেন্দ্রীয় বিহার প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দায়ক-দায়িকা, নর-নারী, যুবক-যুবতীরা অংশ নেয়।
জেলা শহরের প্রতিটি বিহারে বিহারে চলছে ছোয়াইং দান, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, বোধি বৃক্ষের নিকট উপস্থিত হয়ে সেখানে জল সিঞ্চন, পঞ্চশীল অষ্টশীল গ্রহণ ধর্মীয় দেশনাসহ নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা।
বিহারে আসা দায়ক-দায়িকারা বলেন, আমাদের এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ভগবান বুদ্ধ এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই আমরা প্রতি বছর এই দিনটি নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালন করে থাকি। আজকে আমরা সকালে বিহারে এসেছি, ছোয়াইং দান করেছি, বোধিবৃক্ষে চন্দন জল সিঞ্চন করেছি। বিকেলে হাজার প্রদীপ জ্বালাবো, পাশাপাশি সমবেত প্রার্থণা করবো। যাতে জগতের সকল প্রাণি সুখী হয় এবং যেন আমাদের সকলের মাঝে শান্তি বয়ে আসে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মের এ দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান বান্দরবান রাজ গুরু বৌদ্ধবিহারের বৌদ্ধ ভিক্ষু নন্দশ্রী ভিক্ষু।
তিনি বলেন, প্রতিবছর বৈশাখী পূর্ণিমার তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা পালন করে বুদ্ধ পূর্ণিমা। এই দিনে গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও পরিনির্বাণ এ তিনটি স্মৃতিকে স্মরন করে দিনটি উদযাপন করা হয়।