তারিখ লোড হচ্ছে...
ইউটিউব লাইভ ই-পেপার
খুঁজুন
বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২
লোড হচ্ছে...

প্রধান উপদেষ্টা

সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাবে গণঅভ্যুত্থান, আইনি সুরক্ষা পাবেন আন্দোলনকারীরা: ঘোষণাপত্র পাঠ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ণ
সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাবে গণঅভ্যুত্থান, আইনি সুরক্ষা পাবেন আন্দোলনকারীরা: ঘোষণাপত্র পাঠ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা করার সময় উল্লেখ করেন, গণঅভ্যুত্থান যুক্তসঙ্গত, বৈধ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। গণঅভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানের তফসিলে ঘোষণাপত্র যুক্ত হবে। সেই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের আইনি সুরক্ষা দেয়া হবে।

ঘোষণাপত্রের ২৪ নম্বর অংশে ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।”

নিচে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা করা ঘোষনাপত্রটি তুলে ধরা হলো:

যেহেতু উপনিবেশ বিরোধী লড়াইয়ের সুদীর্ঘকালের ধারাবাহিকতায় এই ভূখণ্ডের মানুষ দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করে জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল;

যেহেতু, বাংলাদেশের আপামর জনগণ দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ভূখণ্ডে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বিবৃত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে;

যেহেতু স্বাধীন বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রনয়ন পদ্ধতি, এর কাঠামোগত দুর্বলতা ও অপপ্রয়োগের ফলে স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছিল এবং গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা ক্ষুণ্ণ করেছিল;

যেহেতু স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে বাকশালের নামে সাংবিধানিকভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করে এবং মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করে, যার প্রতিক্রিয়ায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশে সিপাহী-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং পরবর্তী সময়ে একদলীয় বাকশাল পদ্ধতির পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনঃপ্রবর্তনের পথ সুগম হয়,

যেহেতু আশির দশকে সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় বছর ছাত্র-জনতার অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয় এবং ১৯৯১ইং সনে পুনরায় সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।

যেহেতু দেশী-বিদেশী চক্রান্তে সরকার পরিবর্তনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় ১/১১ -এর ষড়যন্ত্রমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার একচ্ছত্র ক্ষমতা, আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করা হয়;

যেহেতু গত দীর্ঘ ষোল বছরের ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক এবং গণবিরোধী শাসনব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে এবং একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অতি উগ্র বাসনা চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে সংবিধানের অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক পরিবর্তন করা হয় এবং যার ফলে একদলীয় একচ্ছত্র ক্ষমতা ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়;

যেহেতু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন, গুম-খুন, আইন-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং একদলীয় স্বার্থে সংবিধান সংশোধন ও পরিবর্তন বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংস করে;

যেহেতু, হাসিনা সরকারের আমলে তারই নেতৃত্বে একটি চরম গণবিরোধী, একনায়কতান্ত্রিক, ও মানবাধিকার হরণকারী শক্তি বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী, মাফিয়া এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রের রূপ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে;

যেহেতু, তথাকথিত উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী নেতৃত্বে সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের মধ্য দিয়ে বিগত পতিত দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ ও এর অমিত অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং এর পরিবেশ, প্রাণবৈচিত্র্য ও জলবায়ুকে বিপন্ন করে;

যেহেতু শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণ গত প্রায় ষোল বছর যাবত নিরন্তর গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করে জেল-জুলুম, হামলা-মামলা, গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়;

যেহেতু বাংলাদেশে বিদেশী রাষ্ট্রের অন্যায় প্রভুত্ব, শোষণ ও খবরদারিত্বের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে বহিঃশক্তির তাবেদার আওয়ামী লীগ সরকার নিষ্ঠুর শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে দমন করে;

যেহেতু অবৈধভাবে ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন) এদেশের মানুষকে ভোটাধিকার ও প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত করে;

যেহেতু, আওয়ামী লীগ আমলে ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, শিক্ষার্থী ও তরুণদের নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয় এবং সরকারী চাকুরীতে একচেটিয়া দলীয় নিয়োগ ও কোটাভিত্তিক বৈষম্যের কারণে ছাত্র, চাকুরী প্রত্যাশী ও নাগরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের জন্ম হয়;

যেহেতু বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ওপর চরম নিপীড়নের ফলে দীর্ঘদিন ধরে জনরোষের সৃষ্টি হয় এবং জনগণ সকল বৈধ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই চালিয়ে যায়;

যেহেতু, সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার বিলোপ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ব্যাপক দমন-পীড়ন, বর্বর অত্যাচার ও মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ড চালানো হয়, যার ফলে সারা দেশে দল-মত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণবিক্ষোভ গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়;

যেহেতু ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে অদম্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দল, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ যোগদান করে এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাহিনী রাজপথে নারী-শিশুসহ প্রায় এক হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে, অগনিত মানুষ পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করে এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন প্রদান করে;

যেহেতু, অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের পতন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জনগণ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে,  পরবর্তী সময়ে ৫  আগস্ট ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ পরিচালনা করে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনরত সকল রাজনৈতিক দল,  ছাত্র-জনতা তথা সর্বস্তরের সকল শ্রেণী, পেশার আপামর জনসাধারণের তীব্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণভবনমুখী জনতার উত্তাল যাত্রার মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়;

যেহেতু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট মোকাবেলায় গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রত্যয় ও প্রয়োগ রাজনৈতিক ও আইনি উভয় দিক থেকে যুক্তিসঙ্গত, বৈধ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত;

যেহেতু জনগণের দাবি অনুযায়ী এরপর অবৈধ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রীম কোর্টের মতামতের আলোকে সাংবিধানিকভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে একটি অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করা হয়;

যেহেতু, বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের ফ্যাসিবাদবিরোধী তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়;

সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ, আইনের শাসন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিদ্যমান সংবিধান ও সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে;

সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ বিগত ষোল বছরের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম কালে এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালীন সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংঘটিত গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও সকল ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধসমূহের দ্রুত উপযুক্ত বিচারের দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে;

সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গনঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ যুক্তিসঙ্গত সময়ে আয়োজিতব্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে প্রতিশ্রুত প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রত্যাশা, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

সেহেতু বাংলাদেশের জনগণ এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে যে একটি পরিবেশ ও জলবায়ু সহিষ্ণু অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন কৌশলের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অধিকার সংরক্ষিত হবে।

বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে। এবং ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হলো।

ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে দেশ এবং মানুষের মঙ্গল কামনা করেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে যুবক আটক

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মদ্যপ অবস্থায় দুর্গাপূজার মণ্ডপের পাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সজীব দে (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবক দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামের নান্টু দে’র ছেলে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মজলিশপুর গ্রামের দুর্গাপূজা মণ্ডপ এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে টহলরত পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তিনি মদ্যপ ছিলেন।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কমিটি পুণর্গঠন

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি পুণর্গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য প্রবাস গমন করায় তাদের শুণ্য পদ পূরণ এবং কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে পূনর্গঠিত কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

পুণর্গঠিত কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য (সময়ের আলো), সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার (দিবালোক) ও ফয়জুল হক শিমুল (সময়চিত্র), সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম (আগামী প্রজন্ম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় (নবদ্বীপ) ও মাছুম আহমদ (ক্রীড়ালোক), কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ (সংবাদ), প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল খালিক (ইত্তেফাক), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মুনজের হোসেন বাবু (ম্যাপ টিভি), দপ্তর সম্পাদক সামিয়ান হাসান (আমাদের সময়), সদস্য যথাক্রমে খালেদ জাফরী, আতাউর রহমান (দেশ এডিশন), মো: জহির উদ্দিন (দিনকাল), আবুল হাসান (যুগভেরী), জসীম উদ্দিন (বিজয়ের কন্ঠ), এম এ ওমর (মুভি বাংলা), আমিনুল হক দিলু (শ্যামল সিলেট), শাকের আহমদ (এসআরআই টিভি) ও মিছবাহ উদ্দিন (রুপালী বাংলাদেশ)।

এদিকে সম্মানীত সদস্য হিসেবে ফারুক যোশী (যুক্তরাজ্য), মোস্তাফিজ শফি, আজিজুল পারভেজ, আলী আহমদ বেবুল (যুক্তরাজ্য), এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল (যুক্তরাজ্য), এনায়েত হোসেন সোহেল (ফ্রান্স), শরিফুল হক মনজু (যুক্তরাষ্ট্র), ফুজেল আহমদ (কানাডা), জাকির হোসেন (যুক্তরাষ্ট্র), ফয়সল মাহমুদ (যুক্তরাজ্য), সুফিয়ান আহমদ (ফ্রান্স) ও মনোয়ার হোসেন লিটন (যুক্তরাষ্ট্র)-কে মনোনীত করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সজীব ভট্রাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সংগঠনের সকল সহযোগী সদস্যকে পুর্ণাঙ্গ সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও কর্মচারী, থানায় অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছেন এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই পৌরসভার থানা রোড এলাকার কাজল বনিক ও কনক বনিকের মালিকানাধীন মেসার্স নূপুর জুয়েলার্স-এ কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন শ্রীমঙ্গল থানার সবুজবাগ গ্রামের রতন দে’র ছেলে রনি দে (৩০)। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অপর কর্মচারী দোকান থেকে বাইরে গেলে, দীর্ঘ সময় রনির খোঁজ না পেয়ে মালিক তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করেন, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে রনির স্ত্রী প্রমা দে’র কাছে তার খবর জানতে চাইলে তিনি জানান, দোকানে কাজ আছে বলে সকালে বেড়িয়ে গেছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অপর আরকটি চাবি দিয়ে ড্রয়ার খোলা হলে দেখা যায় সেটি খালি। সিসিটিভি ফুটেজে সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে দেখা যায়, স্বর্ণালংকারগুলো রনি একটি কাগজে মুড়িয়ে প্যান্টের পকেটে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।

কাজল বনিক ও কনক বনিক জানান, একটি বিয়ের জরুরি কাজের জন্য রনিকে ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ (বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) দেওয়া হয়েছিল। সেই স্বর্ণ নিয়েই তিনি উধাও হয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাজল বনিক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিনের মতো ব্যবসা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করার আগে রনিকে বলা হয়েছিল সকালে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে রাখতে। কিন্তু ঘটনার দিন সকালে সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারসহ গা-ঢাকা দেন তিনি।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও স্বর্ণ উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

লোড হচ্ছে...